শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > জাতিসংঘে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

জাতিসংঘে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
রোহিঙ্গা নির্যাতনের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, ‘মিয়ানমার সংখ্যালঘু নাগরিকদের ওপর পাশবিক অত্যাচার ও নৃশংস কার্যক্রম চালাচ্ছে। দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে।’

শুক্রবার মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে নৌকাডুবিতে ৫০ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ হওয়ার পর হ্যালি এই মন্তব্য করেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানায়, ওই নৌকায় প্রায় ১৩০ জনের মত লোক ছিল। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, এর মধ্যে ২৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, ১৯ জন মারা গিয়েছে এবং ৫০ জনেরও বেশি নিখোঁজ হয়েছে।

হ্যালি আরো বলেন, আমাদের অবশ্যই নাগরিকদের নৃশংস কার্যক্রম চালানো বার্মার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যে সদস্যদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে, তাদের নির্দেশনা দেওয়ার মতো দায়িত্বশীল পদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে দিতে হবে। অভিযুক্ত সেনাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। মিয়ানমারকে অতিসত্বর এই নির্মমতা বন্ধ, জাতিসংঘে ত্রাণ সংস্থাগুলোকে অবশ্যই রাখাইনে প্রবেশের অনুমতি এবং প্রতিটি রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে হবে।

এছাড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জবাবদিহি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত রাখতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। নোবেল বিজয়ী অং সান সু কী কে উদ্দেশ্য করে হ্যালি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য মিয়ানমারের সিনিয়র নেতাদের লজ্জিত হওয়া উচিত, যারা একসময় গণতান্ত্রিক বার্মা গড়ার জন্য কাজ করেছিলেন।’

এই প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের ওপর শাস্তির দাবি জানাল। যদিও মিয়ানমার তার মিত্র দেশ চীন এবং রাশিয়ার কাছ থেকে শক্ত সমর্থন পেয়ে আসছে। চীনা রাষ্ট্রদূত উ হাইতো বলেন, ‘বার্মা প্রশাসন যে প্রতিকূলতার শিকার হয়েছে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সচেতন থাকতে হবে।’ রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসাইলি নেবেনজিয়া রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পোড়ানোর জন্য দায়ি করে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই ‘জাতিগত নিধন’ এবং ‘গণহত্যা’ এইরুপ শব্দ ব্যবহারে সচেতন থাকতে হবে। এর আগে মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্খক উ থং তুন বলেন, ‘মিয়ানমারে কোন জাতিগত নিধন বা গণহত্যা চলেছে না। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালাচ্ছি এবং সেটি কোন অঞ্চল ভিত্তিক নয়।’ সূত্র: আল জাজিরা।