শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আ.লীগ জামানত হারাবে

জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আ.লীগ জামানত হারাবে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: নানা অনিয়ম সত্ত্বেও গাজীপুর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হয়েছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ১৪ দলের সমর্থিত প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার চরমভাবে ভরাডুবি হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

রোববার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

গাজীপুরে ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক এমএ মান্নান মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় তাকে এবং কাউন্সিলরদের অভিনন্দন জানিয়ে জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদ বলেন, ‘গাজীপুরের সংগ্রামী জনগণ এবং ১৮ দলীয় জোট ও হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের আন্তরিকভাবে মুবারকবাদ জানাচ্ছি। সরকারের নানা অনিয়ম, হুমকি-ধমকি, প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপ, ভয়-ভীতি ও রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ১৮ দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করে ১৪ দলীয় জোটের স্বৈরশাসনকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ ১৮ দলীয় জোটের সব দাবির পক্ষে ম্যান্টেড দিয়েছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ১৪ দলের সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য প্রশাসনকে নগ্নভাবে ব্যবহার করেছে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা দিয়েছে, জাল ভোট দিয়েছে, ভোট কেন্দ্র দখল করেছে, পুলিশ দিয়ে ভোটের বাক্স ছিনতাই করেছে, টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে, পুলিশ দিয়ে ভোটারদের ওপর লাঠিচার্জ করানো হয়েছে, ফলাফল ঘোষণায় বাধা দিয়েছে এবং শেষ মুহূর্তে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদকে চাপ দিয়ে ১৪ দলের প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন আদায় করেছে। এরপর তারা ১৪ দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এ থেকেই প্রমাণিত হয়, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ১৪ দলের সমর্থিত প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার চরমভাবে ভরাডুবি হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’

তিনি আরো উল্লেখ করেন, এ নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলো, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।