শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > জিসিসি নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর পোশাক শ্রমিক

জিসিসি নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর পোশাক শ্রমিক

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পোশাক শ্রমিকদের ভোট, প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। প্রায় আড়াই লাখ ভোটারের ব্যালট টানতে তাই মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

শিল্পাঞ্চল গাজীপুরে পোশাক কারখানার লক্ষাধিক শ্রমিক ভোট দিচ্ছেন এবারের নির্বাচনে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ও গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনসহ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের তথ্য মতে পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ ভোটার রয়েছে।

গাজীপুরের বিভিন্ন এলকার পোশাক শ্রমিক ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশিরভাগ পোশাক শ্রমিকই স্থানীয় নয়। জীবিকার তাগিদেই তারা এখানে বাস করছেন। ভোটার তালিকা তৈরির সময় টাকা খরচ করে নিজ নিজ বাড়িতে না গিয়ে কর্মস্থলেই ভোটার হয়েছেন তারা। আর এই ভোটাররাই আসন্ন নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবেন।

পোশাক শ্রমিকদের ভোট নিজেদের ঘরে তুলতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

তারগাছ কুনিয়া পাছর এলাকার মুনলাইট গার্মেন্টেসে বুধবার গণসংযোগ করছিলেন সংরক্ষিত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জোসনা আহমেদ। এ সময় তিনি শ্রমিকদের ভোটের গুরুত্বের কথা জানান।

তিনি বলেন, “যারা ভোটার রয়েছেন তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন ভোট দেওয়ার ব্যাপারে। যারা ভোটার নয়, তাদের দোয়া চেয়েছি।”

তবে সাড়ে তিন হাজার শ্রমিকের এ গার্মেন্টসে ভোটারের সংখ্যা কতো সে হিসেব নেই জোসনার।

পোশাক শ্রমিকদের ভোটকে লক্ষ্মী হিসেবে মেনে নিয়ে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছিলেন টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের কাছে ভোট চাওয়ার মধ্য দিয়ে।

এদিকে ১৮ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম এ মান্নানও বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে টঙ্গীর সেনাকল্যাণ ভবনসহ গাজীপুরের বিভিন্ন গার্মেন্টসে প্রচারণার মধ্য দিয়ে শুরু করেছিলেন গণসংযোগ।

স্থানীয় ইস্যুর চেয়ে পোশাক শ্রমিক ভোটারদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে জাতীয় ইস্যু। আর তাই দুই দল নেতাকর্মীরাও তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সে অনুসারে, তাদের ভোট নিজেদের ঘরে তুলতে চাইছেন বিভিন্ন কায়দায়।

পোশাক শ্রমিকদের বড় অংশের বাড়ি উত্তরবঙ্গে। এসব ভোটারদের বাগে আনতে ওইসব অঞ্চলের সংসদ সদস্যরা নিজ দলীয় প্রার্থীদের জন্যে চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা।

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের দিনাজপুরের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বগুড়ার সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান আজমত উল্লা খানের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

উত্তরবঙ্গের একাধিক বিএনপি নেতা এই গার্মেন্টস শ্রমিক ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন মান্নানের পক্ষে।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের সংগঠনগুলোও জাতীয় রাজনীতিকে মূল ধরে প্রচারণা চালাচ্ছে নিজেদের মতো করে। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দিয়েছেন ৪০টি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় শ্রমিক জোটসহ ৪০টি সংগঠনের নেতারা এই সমর্থন দেন।

তবে নেতাদের এ ঘোষণা ও সাধারণ শ্রমিক ভোটারদের মতের পার্থক্য রয়েছে বলে জানা যায়। তারা তাদের জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দর্শন থেকেই বেছে নেবেন প্রিয় প্রার্থীকে।