মো: মিলটন খন্দকার
স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন একটি শ্রমিক অধ্যূষিত এলাকা। এই এলাকায় শ্রমিকরা কারখানা বন্ধের ঘোষণায় বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। পরে আবার অনেকে গাজীপুরে ফিরে এসেছেন। তাই গাজীপুরের লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা যেন লকডাউন করা হয় সেটা সরকারের কাছে দাবি জানাই। এটি যাচাই বাছাই করে সরকার যেন দ্রুত সিদ্ধান্ত দেয়, তা নাহলে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যাবে।
বুধবার দুপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৩ গাছা এলাকায় আঞ্চলিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
মেয়র বলেন, আমাদের সিটি কর্পোরেশনের সকল কাউন্সিলদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে নিজ নিজ এলাকায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের না হতে এবং অযথা কোন স্থানে আড্ডায় জড়ো না হতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একজন একজন করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করবে। অনেক মানুষ যাতে কোন দোকানে এক সাথে জড়ো হতে না পারে সে জন্য সকল মানুষকে কাউন্সিলররা অনুরোধ করে বুঝিয়ে বলবে। মাত্র ১৫দিন যদি আমরা যার যার বাসায় অবস্থান করতে পারি তাহলে আমাদের অনেক ঝুকি কমে যাবে। এ সময়ে যারা অসহায় দুস্থ গরিব তাদের বাসায় স্থানীয় কাউন্সিলররা খাদ্য পৌঁছে দিবে। ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে যেন কেউ কোন প্রকার স্বজন প্রীতি না করতে পারে সে দিকে আমরা খেয়াল রাখছি। ত্রাণ বিতরণের একটু সময় লাখছে কিন্তু পর্যায়ক্রমে আমাদের তালিকাভুক্ত সকলের বাসায় খাবার পৌঁছে যাবে।
অপরদিকে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের লক্ষে মহাসড়কে একাধিক চেক পোষ্ট বসিয়ে কাজ করছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমান আদালতের টিম বাজার ও জনসমাগম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে। দুপুর ১২ টার পর সব ধরনের দোকান পাট বন্ধ রাখারা নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।