বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
আগামী ২৮মে অষ্টম শ্রেণির সমাপনী (জেএসসি) পরীক্ষা কাঠামো পরিবর্তনে ফের আসছে সিদ্ধান্ত। অথচ এর মাত্র পাঁচ মাস পর নভেম্বর মাসের ১ তারিখে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। নতুন পরীক্ষা কাঠামো কেমন হবে না জানতে পেরে উত্কণ্ঠায় রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সকলেই। এছাড়া পরীক্ষার মাত্র পাঁচ মাস আগে কেনো পদ্ধতি পরিবর্তন করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
অভিভাবকরা বলছেন, বছরের মাঝামাঝিতে এসে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার তাদের পছন্দ হয়নি। বছরের শুরুতে কাঠামো পরিবর্তন করা হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা হতো। এছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাঁচ মাসেই কেন বাস্তবায়ন করতে হবে?
রফিকুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে এটা এক প্রকার তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। সরকারকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালে না করে ২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষা থেকে প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করলে সুফল পাওয়া যাবে।
এর আগে প্রাথমিক স্তরের এমসিকিউ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয় শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার দ্বিতীয় মাসের শেষ সপ্তাহে। প্রাথমিক শিক্ষাসমাপনী থেকে এমসিকিউ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ উত্কণ্ঠায় ছিল শিক্ষার্থী অভিভাবরা।
শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবকৃত নতুন কাঠামো চূড়ান্ত হলে জেএসসিতে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র মিলে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা হবে। ইংরেজিতেও দুই পত্র মিলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এ ছাড়া ১০০ নম্বরের চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে।তবে গণিত, ধর্ম, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা আগের মতোই অনুষ্ঠিত হবে। ফলে সাত বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা সাত দিনে শেষ হবে। আগে গার্হস্থ্য অর্থনীতি/কৃষিসহ ১০টি বিষয়ে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হতো। এবার সবমিলে নম্বর কমবে ২০০।
চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) থেকে জানানো হয়, এ বছর এই পরীক্ষার ৬টি বিষয়ের শতভাগ প্রশ্নই হবে কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতিতে (সৃজনশীল)। এর এক সপ্তাহ পর পরীক্ষা সংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। সূত্র: ইত্তেফাক