শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > জেরুজালেম নিয়ে বিক্ষোভ ঠেকাতে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে মৃত্যুদন্ডের বিল

জেরুজালেম নিয়ে বিক্ষোভ ঠেকাতে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে মৃত্যুদন্ডের বিল

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান সহ একাধিক রাজনীতিবিদ দেশটির পার্লামেন্টে সন্ত্রাসীদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদ- দিয়ে একটি বিল উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। ইসরায়েলে সর্বশেষ মৃত্যুদ- দেওয়া হয় ১৯৬১ সালে নাজি যুদ্ধাপরাধী এডলফ আইখম্যানকে এবং এক বছর পর তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে জেরুজালেমকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার পর যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ বাড়ছে তা দমন করতেই এধরনের বিল আনা হচ্ছে দেশটির পার্লামেন্টে। ট্রাম্পের ওই ঘোষণার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের দমন পীড়ন ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরো উস্কে দেবে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্ব আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল।

গত রোববার ইসরায়েলের রাজনীতিবিদরা পার্লামেন্টে এধরনের বিল উপস্থাপনের জন্যে একমত হন। এ বিলে সন্ত্রাসীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদ- প্রদানের কথা বলা হয়েছে। ফিলিস্তিনের ভূমি জবরদখল ও তার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ করলে তা ইসরায়েলের সরকার ও প্রশাসন সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান তার দল ইসরায়েল বেইতেনু’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ বিলের কথা জানান। যদিও আভিদগরের বিবৃতিতে শব্দগুচ্ছ স্পষ্ট ছিল না তবে তার অতীতের বক্তব্য থেকে এটা পরিস্কার সন্ত্রাস বলতে তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভকেই বুঝাচ্ছেন।

হিব্রু ভাষায় দেওয়া ওই বিবৃতিতে ইসরায়েলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলের কোয়ালিশন সরকারের নেতারা সন্ত্রাসের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদ-কেই চূড়ান্ত করে বিল সংসদে উপস্থাপনে একমত হয়েছেন। ইসরায়েলের সরকারে ৬টি রাজনৈতিক দলের কোয়ালিশন শাসনভার পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, এ আইনটি খুবই পরিস্কার এবং তা হচ্ছে যে সব সন্ত্রাসী সাধারণ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে তাদের মৃত্যুদ-ই হওয়া উচিত।

লিবারম্যানের এ বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হচ্ছে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে মৃত্যুদ-ের বিলটি পাশ হলে তা ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের জন্যে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। বর্তমানে ইসরায়েলের কারাগারে আটক শত শত শিশু ও তরুণদের রাজনৈতিক সমঝোতা বা বন্দী বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালে ইসরায়েলী সেনা গিলাদ শালিতকে ১ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়। গাজায় গিলাদকে অপহরণের ৫ বছর পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুদ- বিল ইসরায়েলের পার্লামেন্টে পাশ হলে এধরনের রাজনৈতিক সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, সন্ত্রাসীদের কারাগারে বসে পরিস্থিতি ভোগ করার পর তাদের মুক্তি পাওয়ার কোনো সুযোগ দিতে পারি না।