শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > জোটযুদ্ধের অপেক্ষায় গাজীপুর সিটিবাসী

জোটযুদ্ধের অপেক্ষায় গাজীপুর সিটিবাসী

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
সব আয়োজন শেষ। ভোটের জন্য প্রস্তুত গাজীপুর সিটিবাসী । এখন শুধু অপেক্ষা। টান টান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শনিবার গাজীপুরে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তথা জোটযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

শেষ সময়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া মুলত: দুই জোটের মধ্যে লড়াই হবে। তবে এই জোটযুদ্ধে কে জিতবে, কে হবেন গাজীপুরের প্রথম নগরপিতা তার জন্য উপেক্ষা করতে হবে শনিবার পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে।

এরপর থেকেই গাজীপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষ থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।

তারা আশঙ্কা করছেন, আজমউল্লাহ খানের এলাকা টঙ্গীবাজারের কেন্দ্রগুলোতে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা হতে পারে।

এদিকে মসজিদে মসজিদে শেষ দিনের মতো নীরব প্রচারণার চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রার্থীরা। নামাজ শেষে বেরুনোর সময় মুসল্লিদের সঙ্গে কোলাকোলুলি করে দোয়া চাইলেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

এছাড়া গাজীপুরের স্থানীয় সিনিয়র নেতারা নিজ নিজ এলাকার মসজিদে এই নীবর প্রচারণা চালান।

১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লা খান জুমার নামাজ আদায় করেন টঙ্গী পৌরসভা জামে মসজিদে।

আর ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান নামাজ আদায় করেন টঙ্গী বাজার জামে মসজিদে।

এদিকে সকাল থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, সিল মোহর ও ভোটার তালিকা পাঠানো শুরু হয়েছে।

গত ৭ জানুয়ারি দুটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের ৩২৯ দশমিক ৯০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় দেশের ১১তম সিটি করপোরেশন।

এখানে মোট ভোটার ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী, ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫৬ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২৮ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৯২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।

সকালে স্থানীয় জেলা প্রশাসক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন। নির্বাচনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১২ প্লাটুন সদস্য, ৮৪৭ জন র‌্যাব ও আনসার সদস্যসহ ১২ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টার টহল ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।