শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ঝিনাইদহে গরু চোরের অত্যাচারে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ

ঝিনাইদহে গরু চোরের অত্যাচারে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ

শেয়ার করুন

ঝিনাইদহ থেকে জাহিদুর রহমান তারিক ॥
ঝিনাইদহে গরু চোরের বেপরোয়া অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অঞ্চল ভিত্তিক পুলিশ ক্যাম্প থাকার পরও গরু চুরি বন্ধ হচ্ছে না। এমন কি গরু চুরি করে পুলিশ ক্যাম্পোর পাশ দিয়ে নির্বিঘেœ পালিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। ফলে গ্রামের হতদরদ্রি মানুষগুলো মুল্যবান গরু হারিয়ে বিপাকে পড়েছে। মাঝেমধ্যে গরু চোর হাতে নাতে ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে জামিন হয়ে আবারো গরু চুরিতে লিপ্ত হচ্ছে। কোন ভাবেই গরু চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলায় ৬৭টি ইউনিয়নে ১১৪৫টি গ্রাম আছে। প্রতিদিন কোন না কোন গ্রাম থেকে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। গরু চুরির ঘটনা আপাতদৃষ্টিতে মামুলি মনে হলেও গ্রামে হতদরিদ্র গরু পালকদের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে পথে বসছে। সহায় সম্বল বিক্রি করে গ্রামের স্বল্প পুজির মানুষ গরু পাণ করে আর্থিক সচ্ছলতা ফেরানো স্বপ্ন দেখলেও গরু চোরের উপদ্রুবে গরু পালকদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে নিকট অতীতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাজরা গ্রামের শুকুর আলী, আশাদুল ইসলাম, দাউদ হোসেন, মক্কেল মন্ডল, শাহিনুর রহমান, ডাবলু, একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কাজী মন্ডল, বিদ্যুৎ মিয়া, মিজার, আইয়ূব ধনী, বংকিরা গ্রামের শফি উদ্দীন বিশ্বাস, মজো মন্ডল, আশোক দাস, জহুরুল ইসলাম, রতন দাস, আফান উদ্দীন, গোলাম রহমান চেনা ডাক্তার, আরমান মিয়া ও মহিদ্দীনের গরু চুরি হয়েছে। বংকিরা গ্রামের শফি বিশ্বাসের এক রাতে ৫টি ও আরমানের ২টি গরু চুরি হয়। সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের জহুরের ছেলে মিজানুর ও গোপালের গরু চুরি হয়েছে। সদর উপজেলা ছোট ঝিনাইদহ গ্রামের ইদু মিয়া, আবুল হোসেন, লক্ষিপুর গ্রামের আব্দর আলী, আইয়ুব হোসেন, আব্দুর রশিদ ডাক্তার, মহিদুল ইসলাম, লুৎফর রহমান ও পচা মিয়াসহ গান্না ইউনিয়ন থেকে সম্প্রতি ২২টি গরু চুরি হয়েছে। এ সব গরুর মুল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা হবে। সদর উপজেলার পোতাহাটী গ্রামের ওয়াছেল ডাক্তার ও হাফিজুর রহমানের গরু চুরি হয়েছে। কোটচাঁদপুর উপজেলার কলাগাছী গ্রামের সবুজ কর্মকার, একই উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের হারুন, নজির মন্ডল ও মতিয়ার রহমানের গরু চুরি হয়েছে। সদর উপজেলার দইঝুড়ি গ্রামের কামারুল, আব্দুল হাকিম ও অলিপ কুমারের ৫টি গরু চুরি হয়েছে। গোয়াল ঘরে রাত কাটিয়েও মানুষ গরু চুরি ঠেকাতে পারছে না। সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, একজন মানুষের বেচে থাকার স্বপ্ন গরু চোরেরা মাটি করে দিচ্ছে। তিনি গরু চুরির প্রতিকার দাবী করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, গান্না ও সাধুহাটী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে চোরের উপদ্রুপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে শুনেছি। তিনি বলেন, সদর উপজেলায় মোট গ্রামে আছে ৩২৪টি। সে ক্ষেত্রে পুলিশ ক্যাম্পে আছে মাত্র ৯টি। এ ক্ষেত্রে গরু পালকদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রাতে গ্রাম পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি অচিরেই পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিবেন বলেও জানান।