শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > টাঙ্গাইল-৪ উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল-৪ উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন কাদের সিদ্দিকী

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। প্রার্থী হলে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগকারী বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর এই আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করবেন।

নির্বাচন কমিশন রবিবার টাঙ্গাইল-৪ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে। উপনির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা করেনি ইসি। এর আগে ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য লতিফ সিদ্দিকী। এমনকি তিনি টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেবেন না বলেও ২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের জানান।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের বরাত দিয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ আহমদ জানান, এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত নেওয়া হবে। নেতাকর্মীরা যদি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী থাকেন তাহলে স্যার (বঙ্গবীর) সিদ্ধান্ত নেবেন।

নয় দিনের দিল্লি সফর শেষে রবিবার দেশে ফেরেন কাদের সিদ্দিকী। দেশে ফিরেই মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া বড় ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গুলশানের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন তিনি। কাদের সিদ্দিকী ২৮ আগস্ট ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে অংশ নিতে দিল্লি গিয়েছিলেন।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সূত্রে জানা গেছে, এ সপ্তাহেই দলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের ঐহিত্যবাহী সিদ্দিকী পরিবারের বসবাস টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতী উপজেলাতে হলেও কাদের সিদ্দিকী সব সময় টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) থেকে নির্বাচন করেন। সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা কাদের সিদ্দিকী এই টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকেই ১৯৯৯ সালে পদত্যাগ করেছিলেন। একই বছর ১৫ নভেম্বর সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে ব্যাপক ভোট কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত হয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেন।