স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে লন্ডনে থাকা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন বলেছেন, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হবেন না।
এর কারণে হিসেবে তিনি বলছেন, “বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল একটি কৌতুক। তারা একটি সাজানো বিচার করছে।”
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন আল-জাজিরাকে এক সাাৎকারে একথা বলেছেন মুঈনুদ্দীন।
যদিও গত মাসে বৃটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (বিবিসি) এক সাাৎকারে তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে নিজের নাম কাটাতে তিনি একটি ‘স্বচ্ছ’ বিচারের মুখোমুখি হতে চান।
গত ১২ মে মুঈনুদ্দীন এবং আরেক প্রবাসী যুদ্ধাপরাধী আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি তাদের হাজিরে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশও দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে ওই দু’জনকে হাজির হতে বলা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম থেকে শুরু করে বিচারকরা ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ দাবি করে আল-জাজিরাকে মুঈনুদ্দীন বলেন, “ইকোনমিস্টের অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে।”
আদালতের বাইরে বিােভের মাধ্যমে বিচারের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মুঈনুদ্দীন বলেন, “এটা একটা ক্যাঙারু আদালত। এখানে কেউ নিজেকে সমপর্ণ করতে চাইবে না।”
আদালতের প থেকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে জানানো হয়েছে কি না জানতে চায় আল-জাজিরা।
এর জবাবে মুঈনুদ্দীন বলেন, “না। বিস্ময়করভাবে অভিযোগ সম্পর্কে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।”
গত ৪০ বছর ধরে প্রকাশ্যে জীবনযাপন করছেন জানিয়ে মুঈনুদ্দীন বলেন, “আমি সমাজের একজন সম্মান্তি সদস্য। নানা ধরনের দাতব্য কাজে অংশ নিচ্ছি।”
নিজের পরিচয় লুকাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা আমাকে কিছু জানাল না কেন তা আমি বুঝতে পারছি না।”
চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে ৫ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ১৬টি অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলায় স্যা গ্রহণ চলছে।
তার বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। বাড়ি ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার চানপুর (জগতপুর ফালীজেরঘাট) গ্রামে।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত জামায়াতের ছয় শীর্ষনেতাকে দণ্ড দিয়েছেন।