বৃহস্পতিবার , ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > ট্রাইভোনের পরিণতি আমারও হতে পারতো: ওবামা

ট্রাইভোনের পরিণতি আমারও হতে পারতো: ওবামা

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ট্রাইভোন মার্টিন নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরকে গুলি করে হত্যা করার মামলায় ‘অসন্তোষমূলক রায়ের’ পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘৩৫ বছর আগে আমারও ট্রাইভোনের পরিণতি হতে পারতো।’ অর্থাৎ ট্রাইভোনের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা আমার সঙ্গেও হতে পারতো।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শেতাঙ্গ জিম্যারম্যানের গুলিতে নিহত হন ১৭ বছর বয়সী নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর ট্রাইভোন। তবে পুলিশে চাকরি প্রত্যাশী ও স্বেচ্ছাসেবী প্রহরী হিসেবে কর্মরত জিম্যারম্যানের দাবি, ট্রাইভোনের হামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতেই তাকে গুলি করেন তিনি।

আইনজীবীরা দাবি করেন, জিম্যারম্যান নিরস্ত্র কিশোর ট্রাইভোনকে অযৌক্তিকভাবে হত্যা করেন।

এক অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে আফ্রো-আমেরিকান বংশোদ্ভূত ওবামা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের খুব কম কৃষ্ণাঙ্গ মানুষেরই বর্ণবাদী বৈষ্যমের অভিজ্ঞতা নেই।’

ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। ট্রাইভোনের মামলার রায়ের মতো এ ধরনের বর্ণবাদী বিষয়ে সাধারণত মন্তব্য করেন না তিনি। তবে ট্রাইভোনের হত্যাকারী জিম্যারম্যানকে বেকসুর খালাস দেওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের ইস্যুতে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তিনি।

বিচারকদের দেওয়া রায়ের ব্যাপারে অবশ্য কোনো মন্তব্য করেননি ওবামা। তবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিরা পৃথক আইনি সেবা পান।

ওবামা বলেন, “এই ঘটনার বিপরীত চিত্রে যদি একজন শেতাঙ্গ কিশোর হত্যাকাণ্ডের শিকার হতো তবে তার ফলাফল-প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারতো।”

ওবামা বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, যেকোনো ধরনের সহিংসতা ট্রাইভোনের এই ঘটনার প্রতি অসম্মান জানাবে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানায়, আদালতের রায়কে বর্ণবিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে এখনও দেশটিতে বিক্ষোভ করে চলেছে হাজারো মানুষ।

সংবাদ মাধ্যম জানায়, ‘ট্রাইভোনের মৃত্যু, জিম্যারম্যানের মুক্তি-এটাই কি গণতন্ত্র’ প্রভৃতি শ্লোগানে শ্লোগানে বিক্ষোভ করছেন প্রতিবাদীরা।