শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ঢাবির ৬০ খেলাপি শিক্ষক, পাওনা ৪ কোটির বেশি

ঢাবির ৬০ খেলাপি শিক্ষক, পাওনা ৪ কোটির বেশি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাবি : বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ৬০ জন শিক্ষক তাদের কাছে পাওনা প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দেননি।

রোববার (১০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই খেলাপি শিক্ষকদের তালিকা ও টাকার পরিমাণ প্রকাশ করা হয়। বিশ্বদ্যিালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে ওই বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাওনা টাকা সুদসহ অবিলম্বে পরিশোধ করার জন্য শিক্ষকদের বারবার চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত সুদের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ৬০ জন শিক্ষক শিক্ষাছুটি নিয়ে বিদেশ গমন করেন এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করায় তাদের চাকরির পরিসমাপ্তি করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওনা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ফেরতের জন্য তাগাদা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এ ছাড়া অনেক শিক্ষক পদত্যাগও করেছেন।

কিন্তু তাদের চিঠি দিয়ে বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্য ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৭ টাকা পরিশোধ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা সুদসহ অনতিবিলম্বে পরিশোধ করার জন্য তাদের পুনর্বার চিঠি দেয়া হয়েছে এবং উক্ত টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত সুদের পরিমাণ বাড়তে থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে সবচেয়ে বেশি খেলাপি শিক্ষক রয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, ১০ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ। বিভাগটির ৫ জন শিক্ষক এই তালিকায় রয়েছেন।

এ হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইংরেজি ও রসায়ন বিভাগ এবং স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট। তাদের ৪ জন করে শিক্ষক এই তালিকায় রয়েছেন।

এককভাবে সবচেয়ে বেশি পাওনা বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিনুর রহমানের কাছে, ৩৮ লাখ ১২ হাজার ২৪৪ টাকা। এই বিভাগের আর কোনো শিক্ষক এই তালিকায় নেই।

টাকার অংকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওনা ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন প্রভাষক শেখ মোহাম্মদ আলীর কাছে, ৩০ লাখ ৪৪ হাজার ১৮২ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক শায়লা হামিদের কাছে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৪২১ টাকা, সহকারী অধ্যাপক ফায়েজা সুলতানার কাছে চার লাখ ৮১ হাজার ৫২৮ টাকা ও মন্ময় জাফরের কাছে নয় লাখ ৩৪ হাজার ২৬৮ টাকা এবং প্রভাষক সুধীর শ্যামুয়েল চৌধুরীর কাছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৮৯৮ টাকা পাওনা।

রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মইনুল হোসেন ভূইয়ার কাছে দুই লাখ ৭২ হাজার ৭৮৭ টাকা, মো. কামরুজ্জামানের কাছে তিন লাখ ৪৮ হাজার ৭৭০ টাকা, লুনা নাসরীন রহমানের কাছে দুই লাখ ১৬ হাজার ৫২৩ টাকা ও প্রভাষক মো. জসিম উদ্দিনের কাছে পাওনা দুই লাখ ৪৩ হাজার ৬১০ টাকা।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হুদার কাছে দুই লাখ ২০ হাজার ১০৬ টাকা, ড. মোহাম্মদ আরিফের কাছে ছয় লাখ ৩২ হাজার ৪০০ টাকা ও সহকারী অধ্যাপক ড. মরিয়ম নাসরীনের কাছে তিন লাখ ৪৪ হাজার ১৭১ টাকা পাওনা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমানের কাছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ১৩ টাকা ও সহকারী অধ্যাপক জাহিদ হাসান চৌধুরীর কাছে পাওনা দুই লাখ এক হাজার ৯৬৩ টাকা। শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম আব্দুলাহেল শাফীর কাছে পাওনা চার কোটি ১৮ লাখ ৮১৯ টাকা।

ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মুসফিক উদ্দীনের কাছে চার লাখ ৫০ হাজার ৭৬৪ টাকা ও প্রভাষক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের কাছে ছয় লাখ ৫৫ হাজার ৫১৭ টাকা পাওনা।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. একেএম জিয়াউর রহমানের কাছে চার লাখ ২০ হাজার ৩০৩ টাকা, প্রভাষক মো. আশরাফুজ্জামানের কাছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৩০৪ টাকা, সহযোগী অধ্যাপক ড. নাসিমুল নোমানের কাছে আট লাখ ১৫ হাজার ৬৬৭ টাকা, সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল করিমের কাছে ছয় লাখ ৩৫ হাজার ২১৪ টাকা এবং প্রভাষক ড. মাহমুদ হোসেনের কাছে তিন লাখ ৭১ হাজার ৮৬০ টাকা পাওনা।

ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনিকা আজিজের কাছে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০ টাকা, ড. সাজ্জাদ হায়দারের কাছে চার লাখ ২৬ হাজার ৬৯ টাকা ও সহকারী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামের কাছে ছয় লাখ ৫২ হাজার ৭৭০ টাকা, ড. শেখ মো. রিয়াজুল ইসলামের কাছে ৭৮ হাজার ৪৫১ টাকা এবং প্রভাষক ড. জামিল ইউসুফ খানের কাছে ৪১ হাজার ৭৯৩ টাকা, সেকেন্দার চৌধুরীর কাছে ১৯ হাজার ১১০ টাকা, আদনান সিরাজ লস্করের কাছে এক লাখ ৫৪ হাজার ৩২০ টাকা, শেখ মোহাম্মদ আলীর কাছে ৩০ লাখ ৪৪ হাজার ১৮২ টাকা, মো. বজলুর রশীদের কাছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৯২২ টাকা ও মো. জহিরুল হকের কাছে দুই লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ টাকা পাওনা।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগমের কাছে ১৫ লাখ ২০ হাজার ৩১০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল কাইয়ুমের কাছে পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ৩৭০ টাকা এবং প্রভাষক জিয়া সাদিকের কাছে আট লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ টাকা ও শেখ মোহাম্মদ শহিদ উদ্দীন ইস্কান্দারের কাছে আট লাখ ৯৭ হাজার ৪৫৭ টাকা পাওনা।

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাসরিন ইসলাম খানের কাছে পাওনা আট লাখ ৯৩ হাজার ৯১ টাকা। আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদ বিন সাঈদের কাছে পাওনা ১০ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ টাকা।

তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হানিফ উদ্দিনের কাছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৮২ টাকা পাওনা।

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুর রহমানের কাছে পাওনা ১৪ লাখ ২১ হাজার ১০৩ টাকা, ড. মোহাম্মদ নুরুল হকের কাছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭০ টাকা এবং সহযোগী অধ্যাপক অনুপ চৌধুরীর কাছে এক লাখ ২৬ হাজার ৪৮৬ টাকা।

ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা এম সাইফুদ্দীনের কাছে পাওনা সাত লাখ ২৭ হাজার ৫২৫ টাকা। নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা আজিমের কাছে নয় লাখ ৫৮ হাজার ৩৯৬ টাকা পাওনা।

তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জমান ভূঞায়ার কাছে পাওনা সাত লাখ ১৯ হাজার ৪৬০ টাকা। অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আলমগীর রহমানের কাছে পাওনা ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২ টাকা।

লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ এহসানের কাছে নয় লাখ চার হাজার ৬৮৯ টাক পাওনা। নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া শারমিনের কাছে পাওনা ১০ লাখ ১০ হাজার ৯৪১ টাকা।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহেদ আনোয়ারের কাছে পাওনা আট লাখ ৩০ হাজার ২১২ টাকা। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তাইম বিল্লাহায়ের কাছে ১২ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩ টাকা পাওনা।

ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুজার কবিরের কাছে সাত লাখ ১৪ হাজার ৬৯৪ টাকা ও মো. আমিনুল ইসলাম মল্লিকের কাছে ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ২৮৭ টাকা এবং প্রভাষক মো. নজরুলের ইসলামের কাছে চার লাখ ২২ হাজার ১৫২ টাকা পাওনা।

গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী আমিনুর রহমানের কাছে পাওনা ১০ লাখ ১৭২ টাকা। অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার মো. ইসতিয়াকের কাছে পাওনা ১৩ লাখ দুই হাজার ৯৮৫ টাকা।

আইন বিভাগের প্রভাষক তানজিম আফরোজের কাছে পাওনা ১০ লাখ ২৩ হাজার ৩৫২ টাকা। তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মু. গোলাম মোর্শেদের কাছে পাওনা সাত লাখ ৯৭ হাজার ২৩০ টাকা।

উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হেদায়েত উল্লাহ চৌধুরীর কাছে পাওনা ৪৬ হাজার ১৫ টাকা। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদা শায়লা বানুর কাছে পাওনা আট লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩ টাকা। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুকের কাছে পাওনা সাত লাখ ৪৬ হাজার ৫২২ টাকা। বাংলামেইল২৪ডটকম