স্পোর্টস ডেস্ক ॥
ঢাকা: একশো মিটার নয়, দুশো মিটারই তার প্রিয় ইভেন্ট। উসাইন বোল্টের পছন্দের কথা তার ভক্তরা জানেন। কিন্তু বেইজিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সেই প্রিয় ইভেন্টেই নামার আগে কতটা চিন্তায় জ্যামাইকান মহাতারকা সেটা হয়তো জানা ছিল না বোল্ট ভক্তদের। ক্লান্তি, ফিটনেস নিয়ে চিন্তার পাশাপাশি একশো মিটারের মতো এই রেসেও বোল্টের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন সেই জাস্টিন গ্যাটলিন।
মঙ্গলবার বোল্ট, গ্যাটলিন সহজেই দুশো মিটারের সেমিফাইনালে উঠেছেন। তবে বোল্টের (২০.২৮) চেয়ে গ্যাটলিন (২০.১৯) হিটে এগিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের তারকা স্প্রিন্টার আবার এ মওসুমে দুশো মিটারে এখনও পর্যন্ত দ্রুততম (১৯.৫৭)।
চোট-আঘাতে বিপর্যস্ত জামাইকান তারকা সেখানে এ মওসুমে একবারই দুশো মিটারে নেমেছেন। তাও দু’মাস আগে নিউইয়র্কে। সেখানে বোল্ট শেষ করেছিলেন ২০.১৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে। তবে সময় নিলেও তা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন বোল্টভক্তরা। তাদের সবচেয়ে বড় চিন্তা তার ফিটনেস নিয়ে।
দিন দু’য়েক আগেই ১০০ মিটারে জ্যামাইকান ‘বিদুৎ’ জিতলেও গ্যাটলিন তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে রুপা জেতেন। যে রেসের পর বোল্ট প্রচণ্ড ক্লান্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। মঙ্গলবারও হিটের পর তিনি বলে দিয়েছেন, ‘দুশো মিটারে জেতাটা আমার কাছে ভীষণ দামি। তবে নিজের ফিটনেস নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছি। এ বছর তো খুব বেশি দুশো মিটারে নামিওনি।’
এই পরিস্থিতিতে যে কেউই বৃহস্পতিবারের ফাইনালে গ্যাটলিনের উপর বাজি রাখতে ভরসা পাবেন। যার উপর দু’বার ডোপিং কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর অভিযোগ। সেই গ্যাটলিনই ১০ বছর আগে হেলসিঙ্কি বিশ্ব মিটে সোনা জিতেছিলেন।
কিন্তু বোল্টকে যারা চেনেন তারা জানেন জ্যামাইকান মহাতারকার পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। তা সে যতই চাপ থাকুক না কেন। বিশেষ করে এমন একটা স্টেডিয়ামে, যেখানে তিনি সাত বছর আগে দুশো মিটারে বিশ্বরেকর্ড ভেঙে সোনা জিতেছিলেন (১৯.৩০)।
২০০৯ বার্লিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেরই গড়া বিশ্বরেকর্ড ফের ভাঙেন বোল্ট ১৯.১৯ সেকেন্ডে। পাশাপাশি তার বিখ্যাত আত্মবিশ্বাসের দাপট তো আছেই। মঙ্গলবারও যার ঝলক শোনা গেল তার গলায়, ‘আমার মনে হয় এই ইভেন্টে টেকনিক্যালি আমি অনেক ভাল দৌড়বাজ। ক্লান্ত, কিছুটা ব্যাথা-বেদনার সমস্যাও আছে ঠিকই তবে একটা আইস-বাথ নিলেই ও সব ঠিক হয়ে যাবে।’
‘বার্ডস নেস্ট’ স্টেডিয়াম তাই আবার বিদুৎ ঝলকের অপেক্ষায় বোল্ট ভক্তরা।
