শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ইরানের

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ইরানের

শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক ॥
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরানের এলিট ফোর্স বিপ্লবী গাার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। ভারত মহাসাগরে ওই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। আইআরজিসির দু’দিনব্যাপী মহড়া চালিয়েছে। মহড়ার শেষ দিনে ওই পরীক্ষা চালানো হয়।

স্থল এবং সমুদ্রে নির্দিষ্ট টার্গে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে গত দুই সপ্তাহে এটা চতুর্থবারের মতো বড় আকারের সামরিক মহড়া।

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূর থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে তা ধ্বংস করতে সক্ষম। ইরানের মধ্যাঞ্চল থেকে ছোড়ার পর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থানরত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

এর আগে দেশটি ওমান উপসাগরে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সামরিক মহড়া চালিয়েছে নৌবাহিনী। অপরদিকে সেনাবাহিনীর ড্রোন মহড়া চালানো হয়েছে ৫ ও ৬ জানুয়ারি।

ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, দূর পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে শত্রুর বিমানবাহী রণতরীসহ বিভিন্ন যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংসের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এটি ইরানের প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সাগরে যুদ্ধের প্রচলিত কৌশলটি হলো কম গতিসম্পন্ন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চলমান লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করা। কিন্তু আমরা দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও সাগরে শত্রুর চলমান নৌযান ধ্বংসের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ইরানের আয়তন বড় হওয়ার কারণে দেশের মধ্যাঞ্চল থেকে দূর পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাগরে শত্রুর বিমানবাহী রণতরী, ডেস্ট্রয়ার ও অন্যান্য যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস করা সম্ভব। এই সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য আগের স্থির করা হয়েছিল। আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করেছি।’

আইআরজিসির প্রধান বলেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাগরে চলমান লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংসের সক্ষমতা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অনেক বড় অর্জন। আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্স এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। হোসেইন সালামি বলেন, ‘এই মহড়ায় আমরা অ্যারোস্পেস ফোর্সের দৃঢ় অবস্থান ও শক্তিমত্তা প্রত্যক্ষ করেছি। প্রয়োজনের সময় যুদ্ধের ময়দানে এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে।’

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর সেগুলো সাগরে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাগেরি শেষ দিনের মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন।