স্টাফ রিপোর্টার ॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যখন দেশের মানুষকে পুড়িয়ে, ষড়যন্ত্র করে সরকার উৎখাত করা যায়নি, তখন বিদেশীদের হত্যা করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, দুটা বোমা মেরে বা পাঁচটা ঢিল মেরে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জে নির্মাণাধীন পদ্মার পানি শোধনাগার উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।
নতুন প্রযুক্তি স্কেডা ব্যবহার করে রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেল থেকে সরাসরি প্রকল্প এলাকায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। এটিই দেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম স্কেডা প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স।
বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কোন স্থান হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আজকে ধনী-দরিদ্রের আয়ের বৈষম্যে হ্রাস পেয়েছে। এটিই হচ্ছে আমাদের উন্নয়নের বড় কথা। সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে আমরা তা করতে সমর্থ হয়েছি। তিনি বলেন, এক সময় বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বাংলাদেশকে ছেয়ে ফেলেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তা কঠোর হস্তে দমন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিন দিন আমাদের পানির চাহিদা বাড়ছে। ভবিষ্যৎ চাহিদা বাড়ানোর জন্য তাই বিভিন্ন এলাকায় পানি শোধনাগার স্থাপন করা হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ এখনো কম হওয়া এবং সিস্টেম লস থাকায় পানির অপচয় না করতেও আহবান জানিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, পানির কল খুলে রেখে প্রতিদিন সকালে দাড়ি সেভ করে অনেক পানির অপচয় করা হয়। এটি না করে পানি সাশ্রয় ও পানির অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যশলদিয়ায় এ ‘পদ্মা পানি শোধনাগার’ নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি ৩৫ লাখ মানুষের মাঝে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই প্রকল্পের মাটি ভরাট, সার্ভে ওয়ার্ক, কার্যক্রম পরিচালনার স্থাপনা, রাস্তা নির্মাণ এবং ১৭ হাজার মিটার পাইপ আনাসহ ১০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ ভিত্তিফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়েই পুরোদমে শুরু হবে এর কাজ।