শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > দেশবাসী তাকিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার দিকে

দেশবাসী তাকিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার দিকে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশবাসী তাকিয়ে আছে ১৮ দলীয় জোট নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দিকে। আজ সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে জাতির উদ্দেশ্যে তিনি কি বলবেন? চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তোরণে তার ভূমিকা কি হবে? দেশের বিশিষ্টজন এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন সরকারে চরম ব্যর্থতা ও দুঃশাসনের কারণে বেগম খালেদা জিয়া এখন সমগ্র জাতির আশা আকাক্সক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

নব্বইয়ের গণআন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের পরবর্তী প্রতিটি সংকটময় মুহূর্তে আপোষহীন নেত্রী হিসেবে তিনি দৃঢ় ভূমিকা রেখে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। আজকের এই চরম ক্রান্তিকালেও বিএনপি চেয়ারপার্সন তার দৃঢ় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের মানুষকে আশার আলো দেখাবেন এমনটাই সবার প্রত্যাশা। দলের নেতাকর্মীসহ ১৮ দলীয় জোট এবং অনেক মিত্র শক্তিরও তার প্রতি রয়েছে পূর্ণ আস্থা। মানুষের এই আস্থা ও বিশ্বাসকে ধারণ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন সংকট উত্তোরণে সঠিক দিক নির্দেশনা দিবেন। বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পাবে।

বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মিঞা বলেন, আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা ও দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি পেতে সবাই এখন বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সনের দিকে তাকিয়ে আছে। এ বিষয়টিকে অনুধাবন করেই তিনি আজ তার বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। সরকার যে প্রহসনের নির্বাচন করছে তাকে তার দলের অর্থমন্ত্রীও নির্বাচন মনে করছেন না। বিশ্ববাসী এ নির্বাচনকে স্বীকিৃতি দিচ্ছে না। এ অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সন অবশ্যই তার আপোষহীন ভূমিকার মাধ্যমে জাতিকে মুক্ত করবেন। বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের গত ৫ বছরের যে লুটপাট ও দুর্নীতির চিত্র পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপার্সন তা জাতির সামনে তুলে ধরে এসব দুর্নীতিবাজদের বয়কট করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাতে পারেন।

বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম এ বিষয়ে বলেন, সরকারের একগুঁয়েমি আচরণ এবং প্রহসনের যে নির্বাচনের আয়োজন তাতে বিরোধীদলের আন্দোলন আজ একটা পর্যায় এসে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকাও এখন স্পষ্ট। সব মিলিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সামনে এখন চলমান সংকটের যথার্থ একটি চিত্র আছে। বর্তমানে সংকট নিরসনের জন্য সমঝোতার কোন সম্ভাবনা আছে বলে আমার মনে হয় না। সেক্ষেত্রে বিএনপির চেয়ারপার্সন চলমান আন্দোলনের গতিকে আরও তীব্র করার আহ্বান জানাবেন এমনটাই মনে হয়। তার দলের এবং জোটের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীরও এমনটাই প্রত্যাশা।

দেশের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে মনে করছেন আন্দোলন ছাড়া দাবি আদায়ের আর কোন পথ বিএনপির সামনে খোলা নেই। আবার অনেকে মনে করছেন, আওয়ামী লীগ প্রহসনের নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অনড় থেকে দেশেকে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়। দেশে চরম অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হলে তৃতীয় শক্তি আসবে। আর সেটাই হবে বর্তমান সরকারের নিরাপদে ক্ষমতা ছাড়ার একমাত্র উপায়। তবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের নেতারা মনে করেন এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। গণঅভ্যুত্থানকে কিছুতেই দমানো যাবে না। জনতার জয় সুনিশ্চিত।