বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > দ্বিতীয় দিনেই বাস টিকিটের জন্য হাহাকার

দ্বিতীয় দিনেই বাস টিকিটের জন্য হাহাকার

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
সামনে ঈদ-উল-আযহা, তাই বাসের আগাম টিকিট যেন সোনার হরিণ। বিক্রির দ্বিতীয় দিন শনিবারই দেখা দিয়েছে টিকিট সংকট। অনেক যাত্রীকে কাউন্টারের সামনে টিকিটের জন্য হাহাকার করতে দেখা গেছে। এক কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টার ঘুরেও মিলছে না কাঙ্খিত দিন ও সময়ের টিকিট। দু-একটি পাওয়া গেলেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, বিশেষ ব্যক্তিদের দখলে চলে গেছে বাসের টিকিট। এতে টিকিট পাচ্ছেন না সাধারণ যাত্রীরা। সঠিকভাবে টিকিট বিক্রি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ যাত্রীদের।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, টিকিট বিক্রির প্রথম দিন শুক্রবারই বেশিরভাগ টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। বিশেষ করে ঈদের আগের তিনদিনের টিকিট ওই দিনই শেষ হয়ে যায়। ফলে শনিবার যাত্রীদের ওই তিন দিনের টিকিট দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে দু-একটি পরিবহন ওই তিনদিনের জন্য নতুন গাড়ি সংযোজন করেছে। তারা টিকিট বিক্রি করেছে।
এদিকে আগাম টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিন শনিবার রাজধানীর গাবতলীতে হানিফ, ঈগল, সোহাগ, শ্যামলী, নাবিল, একে ট্রাভেলস, এসআরসহ বিভিন্ন কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে ছোট-বড় লাইন দেখা গেছে। কয়েকটি কাউন্টারের সামনে নোটিস দিয়ে বা মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে, ২১-২৩ সেপ্টেম্বরের কোনো টিকিট নেই। সাকুরা, হানিফ, সোহাগ, ঈগল, শ্যামলী, এসআর, ডিপজল, আগমনীসহ প্রায় সব বাস কাউন্টারেই ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বরের কোনো টিকিট নেই। তবে ১৯ সেপ্টেম্বর সকালের এবং ২০ সেপ্টেম্বরের কিছু টিকিট এখনো পাওয়া যাচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে চলাচলকারী নাবিল পরিবহনের কাউন্টারের সামনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সায়েম বলেন, ভোরে কাউন্টারে এসেছি। কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে, ঈদের আগের ৩-৪ দিনের কোনো টিকিট নেই। বাধ্য হয়ে ২০ সেপ্টেম্বরের টিকিট কিনেছি।
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জুলফিকার জনি নামে আরেক যাত্রী ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করেন, বেশি দামে বিক্রি করার আশায় টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা প্রত্যেকটি ঈদ কিংবা কোনো বড় উৎসবের আগের নিয়মিত চিত্র। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি বলে আমার বিশ্বাস।
তবে সাতক্ষীরা-যশোর অঞ্চলে চলাচলকারী এসপি গোল্ডেন লাইনের কাউন্টারে কিছুটা ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেছে। টিকিট নিতে আসা আগত যাত্রীদের বলা হচ্ছে, কাউন্টারে নাম লিখিয়ে সিরিয়াল দেন। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৮০ জন সিরিয়াল দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একশ্রেণীর অসাধু চক্র বাস কাউন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে টিকিট কিনে নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। কয়েকদিন ঘাপটি মেরে থেকে ওই চক্রটি ঈদ কাছাকাছি এলে ওই সব টিকিট দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি করে।
তবে পরিবহন মালিকদের দাবি, অতিরিক্ত ভাড়া, টিকিট কালোবাজারিসহ যেসব অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। ঈদে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় এই টিকিট সংকট সৃষ্টি হয়।