বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > দ্বিতীয় দিনেও চলছে বনবিভাগের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

দ্বিতীয় দিনেও চলছে বনবিভাগের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

শেয়ার করুন

কালিয়াকৈর ব্যুরো ॥
গাজীপুর: কালিয়াকৈর উপজেলার চান্দরা পল্লী বিদ্যুৎ জোড়াপাম্প এলাকায় শনিবার দুপুর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে রবিবার দিনও অব্যাহত রয়েছে উচ্ছেদ অভিযান।

অভিযানে বনের উপর গড়ে উঠা বনদস্যু জসিম উদ্দিন ইকবালের বহুতল ভবন ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সাথে জবর দখল হওয়া প্রায় ১শ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি উদ্ধার করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দিন রবিবারও অব্যাহত রয়েছে উচ্ছেদ অভিযান।

বনবিভাগ, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুক্ষ্যাত বনদস্যু জসিম গত ১০/১৫ বছর যাবত চন্দ্রা রেঞ্জের চান্দরা মৌজায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে গজারী গাছ কেটে সরকারী বনের জমিতে স্থাপন করে বিশাল মার্কেট, রাশিদা কুটির-১ নামে চারতলা পাকা ভবন, রাশিদা কুটির-২ ও ৩ নামে দুইটি আধাপাকা ভবন এবং দুই শতাধিক টিনের ঘর, পাকা মসজিদ এবং বিনোদন কেন্দ্র। বনের গাছ কেটে পাঁচ শতাংশ আকারে ৩শ প্লট তৈরী করে গড়ে তোলে সা¤্রাজ্য নতুন গ্রাম নাম দিয়ে প্রতি প্লট পাঁচলক্ষ টাকা করে বিক্রি করে। পুলিশ প্রশাসন, বন বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের সাথে সখ্যতা রেখেই গড়ে তোলে এই সাম্রাজ্য।
গাজীপুরের চন্দ্রা বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ এ বিষয়ে আলাপ কালে বলেন, ‘আমরা জসিমের অপকর্মের বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই। সব শুনে তাঁরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। অবশেষে শনিবার বিকালে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে জমি উদ্ধার অভিযান চালানো হয় জবরদখল মুক্তকরার আগ পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চলবে। গাজীপুরের তিনটি রেঞ্জের শতাধিক বনকর্মকর্তা/বনপ্রহরী, দুইশতাধিক শ্রমিক, শতাধিক পুলিশ ও আনসারের অংশগ্রহণে ৩টি ভেকু মেশিন দিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। শুক্রবার জসিম নিহত হওয়ার পর শনিবরা দুপুরে ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন গাজীপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মশিউর রহমান, জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সনজিব কুমার দেবনাথ, গাজীপুর এডিশনাল এসপি রাসেল শেখ, এডিশনাল এসপি গোলাম সবুর, ঢাকা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ,এসপি সার্কেল শাহিদুল ইসলাম,সহকারী বন সংরক্ষক এনামুল হক,এএসপি শোভন চন্দ্র, এ এসপি শরীফ আল রাজীব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম,সহকারী কমিশনার(ভুমি) নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রিট শাহ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা, কালিয়াকৈর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, ওসি(তদন্ত)মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ওসি অপারেশন সানোয়ার জাহান, কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা এ কে এম আজাহারুল ইসলাম সহ প্রশাসনের বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা গণ। জেলা, উপজেলা, বন বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় বন বিভাগের জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।