বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ঢাকা থেকে সরে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সংগঠিত হচ্ছে নব্য জেএমবি। সম্প্রতি কুমিল্লায় পুলিশের ওপর হামলায় ব্যবহৃত বোমাগুলো আগের চেয়েও শক্তিশালী এ তথ্য দিচ্ছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। আর বোমাগুলো জঙ্গি আস্তানায় পাঠানো হচ্ছিলো ধারণা করে সেসব ঘাঁটির খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে তারা।
গুলশান হামলার পর পরই সামনে আসে নব্য জেএমবির নাম। হামলাকারীদের সম্পর্কেও নানা তথ্য পায় গোয়েন্দারা। আর এর ভিত্তিতেই শুরু হয় অভিযান। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে চালানো বেশ কটি অভিযানে নিহত হন হলি আর্টিজান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামীম চৌধুরী, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড জাহিদ, মারজান, তানভীর কাদেরীসহ ১৩ জঙ্গি নেতা। প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় সংগঠনটি।
কিন্তু গত ৬ মার্চ টঙ্গিতে হয় জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানকে প্রিজনভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্ঠা। পরদিন কুমিল্লার চান্দিনায় চেকপোস্টেই হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। এর পর জঙ্গি আস্তার সন্ধান মেলে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। এই তিনটি ঘটনাতেই পাওয়া গেছে নব্য জেএমবির সম্পৃক্ততা।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বলছে, ঢাকায় টিকতে না পেরে মফস্বলে সংগঠিত হচ্ছে জঙ্গিরা। সেখানে শক্তিশালী বোমা তৈরি করলে বলেও মিলেছে তথ্য। কুমিল্লায় উদ্ধার বোমাগুলোর বিস্ফোরণ হলে ১০ গজের মধ্যে থাকা সবাই মারা যাবে বলে ধারণা পুলিশের।
কুমিল্লায় উদ্ধার বোমাগুলো দিয়ে কোনো হামলা পরিকল্পনা ছিলো না উল্লেখ করে পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারদের কাছ পাওয়া তথ্যে চলছে এসবের গন্তব্য শনাক্তে অভিযান।
তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের পরামর্শ শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রাম নয় কার্যকর গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনতে হবে গোটা দেশকেই।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইসফাক ইলাহী চৌধরী বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় তারা অপারেট করতে পারে এবং সেই ধরনের পরিবেশ যাতে কোথাও বিরাজ না করে সেজন্য নজরদাড়ি বাড়াতে হবে’।
জঙ্গি নিমূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জন সচেতনতা বাড়ানোর ওপরও জোর দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।
ইনডিপেনডেন্ট টিভি