শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > নরসিংদীতে ঈদের আগে গরু চুরির হিড়িক

নরসিংদীতে ঈদের আগে গরু চুরির হিড়িক

শেয়ার করুন

বাইজিদ আহাম্মেদ
পলাশ প্রতিনিধি ॥
নরসিংদী: পলাশ ও শিবপুর এই দুই উপজেলায় কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু চুরির হিড়িক পরেছে। কোরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে এই দুই উপজেলায় গরু চুরি তত বাড়ছে। মাত্র কয়েক দিন ব্যাবধানে উপজেলার চলনা ও শিবপুরের দক্ষিণ সাধারচর ষোলঘর গ্রামের গরিব কৃষকের গোয়াল ঘর থেকে ৪টি গরু ও ২টি মহিষ চুরি হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট বুধবার দিবা গত রাতে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চলনা গ্রামের গরিব কৃষক রুসুন আলীর বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে রাতের অন্ধকারে ৯০ হাজার টাকা মূলের ২টি মহিষ চুরি হয়েছে । তার রেস কাটতে না কাটতেই পরে দিন ৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিবা গত রাতে শিবপুর উপজেলার দক্ষিণ সাধারচর ইউনিয়নের ষোল ঘর এলাকার মাছেদ মিয়া (৪৫) বাড়ি থেকে ১ লক্ষাধিক টাকা মূলের আর ও ৪টি গরু চুরি হয়েছে। ঘটনার সাতদিন পার হয়ে গেলে ও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। তাই ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ভয় ও আতষ্ক বিরাজ করছে ।

গরীব কৃষক রুসুন আলী বলেন, আমার বাড়ির গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে আমাদের পরিবারের এক মাত্র সম্বল ২টি মহিষ চুরি হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানানো হয়েছে। দক্ষিণ সাধাচর গ্রামের ষোল ঘর এলাকার কৃষক মাছেদ মিয়া জানান, অনেক যতœ করে চারটি গরু পালন করেছি আসছিলাম। যার মধ্যে একটি গরু কোরবানির জন্য ও বাকি তিনটি গরু কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করার জন্য রেখেছিলাম। প্রতিদিন রাতে গরু চারটি গোয়াল ঘরে বেধে রাখি সকালে বাহির করি। গরু চারটি চুরি হওয়ার দিন রাতে গোয়াল ঘরে গরু বেধে রেখেছিলাম। মাঝ রাতে উঠে দেখি আমার ঘরের কেচি গেটে এ তালা মারা। পরে আমাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তালা ভেঙ্গে আমাদের ঘর থেকে বের করে। ঘর থেকে বাহিরে হয়ে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখি আমার গোয়াল ঘর শূন্য। কোন গরু নেই। বিষয়টি তাৎক্ষণিক এলাকার সর্বস্তরের লোকজন, ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানানো হয়। আমাদের বাঁচার মত আর কিছু সম্ভল নাই। এবার মনে হয় আমাদের পরিবারের কারো কোরবানির ঈদ করা হবে না।

এই বিষয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, পলাশ ও শিবপুর উপজেলার সিমান্তবর্তী এলাকার বাড়ি গুলোতে ব্যাপক হারে গরু চুরির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। চোরের উপদ্রবে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি আমরা। চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহাড়া বসালে ও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। অনেক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড পুলিশ প্রশাসন কঠোরভাবে নিলে ও গরু চোরদের ব্যাপারে তেমন আমলে না নেওয়ায় দিনদিন তাদের উৎপাত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এই বিষয়ে একটু বেশি নজরদারী দেয় তাহলে অসহায়-গরিব মানুষেরা অনেক-অনেক উপকৃত হবে ।