বৃহস্পতিবার , ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস

নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে আজ পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।

ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে, বনানীতে শহীদদের কবরে ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, দোয়া, মিলাদ মাহফিল, গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতি আজ পালন করছে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।

আজ মঙ্গলবার সূর্য উদয়ের সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধামন্ত্রী। এর পর সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বনানী এলাকা ত্যাগ করার পর দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কবর জিয়ারত করেন।

সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টার যোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দু’জন সেনা কর্মকর্তা সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দ্বিতীয়বার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তিন বাহিনীর প্রধানরাও পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মসজিদ প্রাঙ্গণে দোয়া ও মিলাদ মহফিলে অংশগ্রহণ করেন। মিলাদ মাহফিলে এলাকার নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষরাও অংশ নেন।

এছাড়া ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন এবং ঢাকা নগরীর প্রতিটি শাখা থেকে শোক মিছিলসহ বঙ্গবন্ধু ভবনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

মঙ্গলবার কাকডাকা ভোর থেকেই ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে দেশাত্ববোধক গান ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হয়। এ সব জায়গায় প্যান্ডেল নির্মাণ করে নেতাকর্মীরা সোমবার বিকেল থেকেই অবস্থান নেন। রাতভর চলে খিচুড়ী রান্না।