বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ হিসেব অনুযায়ী দেশের মোট ৫ কোটি ৪১ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১ কোটি ৬২ লাখই নারী। কর্মক্ষেত্রে নারীর এ অগ্রগতির পরও কর্মজীবী নারীদের নিরাপদ আবাসনের সঙ্কট প্রকট।
রাজধানীর সরকারি কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিট পাচ্ছে ভুয়া চাকুরীজীবীরা। সিট প্রার্থীদের অভিযোগ বারবার আবেদন করেও উপরমহলে তদবির করতে না পারায় সিট পাচ্ছেন না তারা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে সমস্যা নিরসনে কর্মজীবী হোস্টেলগুলোতে সিট বাড়ানোসহ নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
সারা দেশ যখন নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে মাতামাতি করছে, তখনো উপেক্ষিত কর্মজীবী নারীদের আবাসন সংকটের বিষয়টি। শত শত লিফলেট ব্যানারে চোখ আটকানো মনোরম পরিবেশ আর সুযোগ সুবিধার চাকচিক্যে ঢাকা পড়ে যায় নারী নিরাপত্তার ইস্যুটি। তাই নিরাপত্তা আর টাকার অঙ্কে মিলিয়ে কর্মজীবী নারীদের শেষ ভরসা সরকারি কর্মজীবী হোস্টেলগুলো। কিন্তু সেখানে স্থান পাওয়া রীতিমত ভাগ্যের ব্যাপার। এক্ষেত্রে প্রধান বাধা ভুয়া সনদধারী চাকুরীজীবী আর উপরমহলের সুপারিশ।
বেশ কয়েক জন নারী অভিযোগ করেন, ‘যারা এর মধ্যে ওই হোস্টেলে উঠেছিলো তারা বলেছে যে নীলক্ষেতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা সনদপত্র বানিয়ে দেবে তখন কোন সচিব বা মন্ত্রীর ফোন কল ছাড়া ওখানে সিট কখনো হবে না।’
রাজধানীর তিনটি কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের মধ্যে নীলক্ষেতে মোট সিট সংখ্যা ৫০৩, মিরপুরের ১৬০ এবং খিলগাঁওয়ে ২১০ টি।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন- হোস্টেল সুপার বলেন, সিট যদি তিনটা খালি হয় আমাদের কাছে আবেদন আসে ১০০ টা। আমরা আরো হোস্টেল বানানোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।
সরকারি তথ্যমতে, সারাদেশে সরকারি ৮টি কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে মোট আসন সংখ্যা ১,৪০৮ টি। -তথ্যসূত্র : সময় টিভি