বৃহস্পতিবার , ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > শীর্ষ খবর > নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে বিভ্রান্ত করেছেন: জাহাঙ্গীর

নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে বিভ্রান্ত করেছেন: জাহাঙ্গীর

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থীর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সঠিক তথ্য দেননি স্থানীয় ও দলের সিনিয়র নেতারা। এর প্রভাব নির্বাচনে পড়েছে বলে মনে করছেন গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আলোচিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী পরাজিত হওয়ার বিষয়ে তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জনবিচ্ছিন্ন ছিলেন বলেই আজমত উল্লা খান হেরে গেছেন। তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলে ভোটের আগে হঠাৎ করে কারও প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয় না। জাহাঙ্গীর বলেন, যিনি প্রার্থী হয়েছেন তার সঙ্গে এলাকার মানুষের যোগাযোগ নেই। হঠাৎ করে ভালবাসা হয় না। তবে নির্বাচনে নিজে দলের প্রার্থী হলে অবশ্যই জিততেন বলে মনে করেন শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা এই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, আমি এই এলাকায় দীর্ঘদিন নির্বাচনের জন্য কাজ করছি। এই সময়ে নানা পর্যায়ে মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, দেখা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। আমি নির্বাচনে থাকলে তারা আমাকে ভোট দিতো বলে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু হঠাৎ কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তার সঙ্গে এলাকার জনগণের সম্পর্ক তৈরি নাও হতে পারে। জাহাঙ্গীর বলেন, আমি অন্য একজনের পক্ষে কাজ করলে তাদের সবার অনুভূতি সমভাবে কাজ নাও করতে পারে। তারাতো আমার কর্মচারী নয় যে, আমি বললেই আমার কথা অনুসারে কাজ করবে। সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, অনেকে জাতীয় ইস্যুর কথা বলেন। এখানে কোন জাতীয় ইস্যু নেই। জাতীয় ইস্যুর প্রভাব থাকলেও সেটা সর্বোচ্চ ৫ ভাগ হতে পারে। কোনভাবেই এর বেশি নয়। বাকি পুরোটাই স্থানীয় ইস্যু। স্থানীয় কারণেই এই পরাজয়। তিনি বলেন, তার সমর্থকরা কাজ করে নির্বাচনে ব্যবধান কমিয়ে দিয়েছেন। তা না হলে আরো বেশি ভোটের ব্যবধানে হারতেন আজমত। যাই হোক, একটা নির্বাচন গেছে। এখন আমি আবার তৃণমূল মানুষকে নিয়ে কাজ করবো। নেতাকর্মীদের নিয়ে দলকে সংগঠিত করতে চেষ্টা করে যাবো। সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, আমাদের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর লোকজনকে সন্তুষ্ট করতেই ব্যস্ত ছিলেন। এছাড়া দলের তৃণমূলের অবস্থা ভাল নয়। এখানে কর্মীদের সঙ্গে নেতাদের যোগাযোগ নেই। যার প্রভাবও পড়েছে নির্বাচনে।