স্টাফ রিপোর্টার ॥ পদ্মা সেতু প্রকল্পে চীনের প্রস্তাব ‘সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে’ যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এ প্রকল্পে নির্ধারিত ঠিকাদার থাকায় পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উল্লেখ করে মুহিত বলেন, “নির্ধারিত ঠিকাদার নয়, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত ঠিকাদার দিয়েই পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ করা হবে।”
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের নিজ দফতরে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার নিকোলাভ ও ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের সঙ্গে পৃথক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে চীনের ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন বিনিয়োগ প্রস্তাবে নির্ধারিত ঠিকাদারের বিষয়টি উল্লেখ থাকায় তাদের প্রস্তাবটি গ্রহণ করা সম্ভব নয়। কারণ আগে নির্ধারিত ঠিকাদার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।”
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের চীনের বিনিয়োগ প্রস্তাবে সরকারের সক্রিয় বিচেনার কথা বলা হলেও তা নাকচ করে এই কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি চীনের বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রায় নাকচ করে দিয়ে বলেন, “আই ডোন্ট সি অ্যানি পসিবিলিটিজ। এর আগে রাশিয়াও প্রস্তাব দিয়েছিল।”
পঙ্কজ শরণের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ঋণ চুক্তির আওতায় অনুদানের ২০ কোটি ডলারের তৃতীয় কিস্তির পাঁচ কোটি ডলার ছাড়ের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা হয়েছে। আগামী মাসে শেষ কিস্তির (৫ কোটি ডলার) টাকাও পাওয়া যাবে।”
তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের মধ্য দিয়ে অনুদানের ২০ কোটি ডলারের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫ কোটি ডলার ছাড় হলো।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আগস্টে ১০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে ভারত ও বাংলাদেশ। এই ঋণের মধ্যে অনুদান হিসেবে দেয়া হয় ২০ কোটি ডলার।
অর্থমন্ত্রী জানান, এই অনুদানের পুরোটাই পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “রূপপুর পারমাণবিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কথা বলেছেন। রাষ্ট্রদূত নিকোলাভ জানিয়েছেন চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর তাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে, তাই এটি নিয়ে দুর্ভাবনার কারণ নেই।”