স্টাফ রিপোর্টার ॥
পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে রাজবাড়ী শহর রক্ষাবাঁধ।
গতকাল শুক্রবার পদ্মার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শনিবার সকালে ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তা বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ কারণে শহর রক্ষাবাঁধসংলগ্ন ইটভাটাসহ ভাঙন কবলিত রাজবাড়ী শহরের গোদার বাজার এলাকার বেড়িবাঁধ হুমকিতে পড়েছে। ভাঙনকবলিত গোদার বাজার এলাকায় শ্রমিকরা বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ওই এলাকায় বসবাসরত ৫০টি পরিবারের প্রায় তিন শতাধিক মানুষের বসবাস রয়েছে বাঁধসংলগ্ন ভাঙন কবলিত এলাকায়। ভাঙন ঠেকাতে বিনোদন কেন্দ্রের পাশে এক হাজার ৫০০ বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলেছে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন রোর্ডের প্রধান করণিক ইউসুফ আলী বলেন, শুক্রবার পদ্মার পানি বেড়ে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শনিবার সকালে ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তা বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে পাংশার মাহেন্দ্রপুরে একটু কম থাকলেও সেনগ্রাম পয়েন্টে পানি একটু বেশি আছে বলে জানান তিনি।
গোদার বাজার এলাকার স্থানীয় ইটভাটার মালিক আলামিন মোস্তফা বলেন, নদীভাঙনের ফলে ইটভাটার অনেকাংশেই নদীগর্ভে চলে গেছে। তারপর আবার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এ অবস্থায় পরিকল্পিতভাবে ভাঙন সংস্কার ও প্রতিরোধ করা না গেলে ইটভাটাসহ মানুষের বাড়িঘর রক্ষা করা কঠিন হবে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ বলেন, পদ্মার গোদার বাজার ভাঙন কবলিত এলাকায় হঠাৎ করে ১২০ মিটার অংশকে চিহ্নিত করে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর কাজ চলমান রয়েছে। সেখানে দেড় হাজার বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ডাম্পিং করা হচ্ছে।
তবে শুক্রবার রাত থেকে পানি বৃদ্ধির ফলে কাজ করতে কিছুটা সমস্যা আছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। সূত্র: যুগান্তর।