শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > সারাদেশ > পলাশের ডাঙ্গায় চুরির মামলায় গ্রেফতার ৫

পলাশের ডাঙ্গায় চুরির মামলায় গ্রেফতার ৫

শেয়ার করুন

বিল্লাল হোসেন
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ॥
নরসিংদী: পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজীরচর গ্রামে চুরির মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।
উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজীরচর এলাকার মৃত মকর উদ্দিনের কন্যা জায়েদা আক্তার বাদী হয়ে হয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পলাশ আদালতে সি আর মামলা নং {৪৩১(১২)১৯} ধারা- ৩৬৯/৩৮২/৪৪৭/৫০৬(ওও) ৩৪ দঃবিঃ দায়ের করেন।
বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলা আমলে নিয়ে ৫ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে। পরে গ্রেফতারী পরোয়ানার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের আটক করে ডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশ।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা হলো- নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কাজীরচর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের পুত্র মজনু (৪৫), আজগর আলীর পুত্র জাকির (৪০), মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র আকবর আলী (৩২), মৃত আজগর আলীর পুত্র শাহীন (৩৫), তাইজুল ইসলাম (২৭)।
জানা যায়, বাদী জায়েদা ৪ তলা বিল্ডিং ফাউন্ডেশন দিয়ে নির্মাণ করে আসছিল, গ্রেফতারকৃতরা প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন সময় বাড়ী তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে যায়। এক রাতে গ্রেফতারকৃতরা রড ও বিভিন্ন মালামাল চুরি করা অবস্থায় বাদীনীর সামনে মুখোমুখি হলে জায়েদা বেগমকে খুনের ভয় দেখায় এবং একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে তার আর্তচিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন বাঁচাতে আসলে চোরেরা পালিয়ে যায়। ঐ রাতে আনুমানিক ১লাখ ৩০ হাজার টাকার রড চুরি করা হয়েছে বলে বাদীনীর অভিযোগ।
আরো জানা যায়, ভাই ইসমাইল বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের অনুমতি নিয়ে বাড়ীর কাজ শুরু করে জায়েদা। পরে অভিযুক্তরা চাঁদা দাবি করে বিভিন্ন সময় হুমকি-দামকি দিয়ে আসছে, চাঁদা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়ারিশ দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে উক্ত সম্পত্তিতে ইনজেকশন জারি করা আছে। বর্তমানে কাজ বন্ধ।
ডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাবের উল হাই জানান, এই জমিনের কাগজপত্র নিয়ে আমার পরিষদে বিচার হয়েছে, জমির মালিক জায়েদা গং, কিন্তু মজনু-জাকিররা গ্রামের বিচার মানেনি, তারা আদালতে মামলা করেছে।
ওয়ার্ড মেম্বার জানান, বিল্ডিং নির্মাণের সময় প্রথমে বাধা আসেনি পরে মজুন গংরা ওয়ারিশ দাবি করেছে।
অভিযোগকারী জায়েদা বেগম জানান, আমরা দীর্ঘ ৮০-৯০ বৎসর যাবত এই জমিতে বসবাস করে আসছি। আমাদের উন্নতি দেখে জাকির, মজনু গংরা ঈর্ষাণিত হয়ে ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে রডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি করে আসছে। আমার দায়ের করা মামলায় এখন তারা গ্রেফতার হয়েছে। তাদের আত্মীয় স্বজনরা আমি এবং আমার পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় মানবেতর জীবনযাপন করছি।