শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > পলাশে কিশোরী ধর্ষণ মামলা > ৫ হাজার টাকার জন্য আসামী ধরছে না পুলিশ!

পলাশে কিশোরী ধর্ষণ মামলা > ৫ হাজার টাকার জন্য আসামী ধরছে না পুলিশ!

শেয়ার করুন

মো. রফিকুল ইসলাম রফিক
স্টাফ রিপোর্টার ॥
নরসিংদী: পলাশ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের সময় ১৬ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনার ১৪ দিন পার হলেও এখনো গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক মামুন মিয়া। মামলার বাদীর অভিযোগ ৫ হাজার টাকার জন্য আসামীকে ধরছে না পুলিশ।
জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল সোমবার দুপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের লামপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মামুন মিয়া তার পাশের বাড়ির ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পর পুলিশ মামুন মিয়াকে না পেয়ে তার মা রেখা বেগমকে আটক করে থানায় আনার ৮ ঘন্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়। পরে ধর্ষণের দুই দিন পর থানায় মামলা নেওয়া হয়। মামলা নং- ২(৫)১৮। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বোরহান উদ্দিন।
এদিকে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ এ মামলার আসামীকে টাকার জন্য গ্রেফতার করছে না বলে মামলার বাদী ওই কিশোরীর মা খুকি বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘থানায় মামলা করতে গেলে এসআই বোরহান উদ্দিন ১০ হাজার টাকা দাবী করেন। পরে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলে আসতে চাইলে তিনি টাকা লাগবে না বলে জানায়। এরপর মামলা নেওয়ার দুই দিনের মাথায় তিনি আমার কাছে আসামী ধরা ও মেডিকেল রির্পোটের জন্য ১২ হাজার টাকা নেয়। টাকা গুলো আমি মানুষের কাছ থেকে ধারকর্জ করি। পরে দারোগা আসামী ধরার জন্য আবারও ৫ হাজার টাকা দাবী করেন। ৫ হাজার টাকা দিলেই তিনি আসামী ধরবেন। আমার স্বামী দিনমজুর। কোন রকম খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। এতো টাকা কই পামু?। আসামী মামুন মিয়া প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুনেছি তার মাকে আটকের পর পুলিশ ২০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমি মামুনকে দেখে অনেক বার বোরহান স্যারকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু তিনি না এসে আমাকে বলেন আসামী এলাকায় আসুক, এলাকায় কিছুদিন কাজকর্ম করতে থাকুক, পরে ধরবে’।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বোরহান উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘মামলার বাদীর দেওয়া অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’।
পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, টাকা নেওয়া বা চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। মামলাটি ঘিরে কোন প্রকার অর্থ নেওয়া হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।