পাকিস্তানী পর্ণো ছবিতে পাওলি দাম

বিনোদন ডেস্ক ॥ ইতোমধ্যে নগ্নতার জন্য আলোচিত হয়েছেন ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী পাওলি দাম৷ পাওলি দামকে নিয়ে ফের হইচই পড়ে গেছে টলিপাড়ায়! তা, এবারে কী এমন কাণ্ড ঘটালেন নায়িকা? নতুন কোনও ভিডিও ফুটেজ এল নাকি তাঁকে নিয়ে বাজারে? নাকি মুম্বাইয়ে বিশেষ সুবিধে করতে না পেরে টলিপাড়াতেই বিতর্কের খাতা খুলছেন নায়িকা আর সেই সঙ্গে খুলছেন পোশাক? পাওলি হেট স্টোরি, ছত্রাক সিনেমায় নগ্ন হয়ে আলোচিত হয়েছেন। বাংলাদেশেও মনের মানুষ সিনেমা করে তিনি আলোচিত হন।
তবে পাওলি দাম এবারে তাঁর পোশাক ছোট করে বাজারে হইচই ফেলে দেননি, হইচইটা শুরু হয়েছে পাকিস্তানি এক পর্ণো ছবিতে অভিনয় করা নিয়ে।
পাকিস্তানী পরিচালক আমজাদ খান একটি পর্ণোছবি করছেন। ছবিটির এখনো নাম ঠিক হয়নি। ইতিমধ্যে পর্ণ ছবিটির নয়িকা হিসেবে পাওলীকে পছন্দ করেছে পরিচালক আমজাদ খান। সম্প্রতি আমজাদ খান পাকিস্থানের বিনোদন ম্যাগাজিন খুবসুরত ধামাকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায় তিনি পর্ণো ছবিটির জন্য সবরকম প্রস্তুতি শেষ করেছেন।কিছুদিনের মধ্যে এই  পর্ণো ছবিতে কাজ শুরু করবেন।
আর নগ্নতার প্রসঙ্গে পাওলির স্পষ্ট বক্তব্য, আমি সব ধরনের সিনেমাতে কাজ করতে পারি। এ ব্যপারে আমার কোন সংকোচ নেই। যদি বিছানায় যৌনতার সময় আমাদের গায়ে কাপড় না থাকে তবে পর্দায় সেই চরিত্রে অভিনয়ের সময় গায়ে কাপড় রাখতে হবে কেন?
পাওলি দামের জন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে ৷ পিতা ব্যবসায়ী ৷ তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে পুরানো কলকাতার বৌবাজার নামক স্থানে ৷ তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে পড়াশোনা করেন।
পাওলী দাম অভিনয়ে পদার্পন করেন কৈশোরে ৷প্রথমদিকে তেমন সাড়া ফেলেননি চলচ্চিত্র শিল্পে ৷ তবে তার জীবনের এক নতুন মোড় আসে সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস কালবেলা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রে নায়িকা মাধবীলতার ভুমিকায় অভিনয়ের পর ৷ কালবেলা ছবিটি তাকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয় ৷
এরপর তিনি ‘ফ্যামিলি অ্যালবাম’ ‘বেডরুম’ একাধিক ছবিতে নানা চরিত্রে অভিনয় করেন ৷ এগুলির মধ্যে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সীর স্ত্রী সত্যবতীর চরিত্রে পাওলী দামের অভিনয় উল্লেখযোগ্য ৷
ছত্রাকে নগ্ন পাওলি:
ছত্রাকে নগ্ন হয়ে সবচেয়ে আলোচিত হন পাওলি দাম। ক্যামেরার সামনে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে তিনি অভিনয় করেন। শরীরে এক টুকরো বস্ত্রও নেই। বিছানায় নগ্ন হয়ে সহ অভিনেতা অনুব্রত-এর সঙ্গে ওরাল সেক্সে মত্ত পাওলি। উপস্থিত ক্যামেরাম্যান ও ছবির পরিচালক। বিছানায় নগ্ন এই দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় নায়িকা পাওলি আপত্তি করেননি বরং তিনি এই নগ্নতার পে যুক্তি দেখিয়েছেন। দীর্ঘ চার মিনিট ধরে নিরাবরণ শরীরে পাওলির যৌনলীলার এই দৃশ্যটি রয়েছে শ্রীলঙ্কার পরিচালক বিমুক্তি জয়াসুন্দরের দ্বিভাষিক ছবি (ইংরেজি ও বাংলা) ‘মাসরুম’ বা ‘ছত্রাক’-এ। কোন বাঙালি নায়িকার এমন সাহসী হয়ে ওঠা টলিউডের ইতিহাসে এর আগে দেখা যায়নি। এমনকি বলিউডে যেখানে অনেক খোলামেলা দৃশ্য দেখানো হয় সেখানেও এমনভাবে নগ্ন হওয়ার নজির নেই। তবে ‘ছত্রাক’ ছবির কার্যনির্বাহী প্রযোজক বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভারতের অনেক নায়িকারই বিদেশের ছবিতে এ ধরনের নগ্ন হয়ে ছবি করার ভুরি ভূরি উদাহরণ রয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, ছবির প্রেেিতর বাইরে গিয়ে একটি দৃশ্য নিয়ে অলোচনা করা অযৌক্তিক। তিনি জানান, কান, টরেন্টো প্রভৃতি চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রশংসিত হয়েছে। ক্রোয়েশিয়ায় ছবিটি পুরস্কারও পেয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, এটা বুঝতে হবে যে, ছবিটি তৈরি করেছেন একজন বিদেশী পরিচালক। তাই তিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের দিকে তাকিয়ে ছবিটি করেছেন। ছবিতে যে নগ্ন দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছে তা যে আরোপিত নয় সেটা জানিয়েছেন বাপ্পাদিত্য। পাওলি যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন সেই মেয়েটি থাকে কলকাতায়। আর তার বয়ফ্রেন্ড থাকে দুবাইয়ে। মেয়েটি তাকে মিস করে। আর তাই শারীরিক তাগিদে সে ক্রমশ জড়িয়ে পড়ে আরেকটি ছেলের সঙ্গে। বিছানায় দু’জনের যৌনতার দৃশ্য এসেছে এভাবে। অবশ্য এভাবে নগ্ন হয়ে ছবি করায় কোন আপত্তি দেখছেন না পাওলি স্বয়ং। রাখঢাক না করেই তিনি জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, ওটা আমিই। কোন বডি ডাবল বা মরফিং নেই। সিনক সাউন্ডে দৃশ্যটি তোলা হয়েছিল’। আর নগ্নতার প্রসঙ্গে পাওলির স্পষ্ট বক্তব্য, ‘যদি বিছানায় যৌনতার সময় আমাদের গায়ে কাপড় না থাকে তবে পর্দায় সেই চরিত্রে অভিনয়ের সময় গায়ে কাপড় রাখতে হবে কেন? বিদেশী ছবিতে তো এমন কৃত্রিমতা থাকে না’।