আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
যতক্ষণ না পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না বলে স্পস্ট জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এক সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে গত মঙ্গলবার তিনি ইসলামাবাদের এমন অবস্থানের ঘোষণা দেন।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে সেই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ইমরান খান জানান, তার দেশ এমন পথ অনুসরণ করে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না।
ইমরান খান বলেন, ‘কোনো দেশ কি করে করুক, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। ১৯৪৮ সালে আমাদের এ স্পষ্ট অবস্থান তৈরি করে দিয়েছেন (পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা) কায়েদে-ই-আজম মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ। তিনি বলেছিলেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকার না দেয়া হলে আমরা কখনোই ইসরায়েলকে মেনে নেব না।’
প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট উপসাগরীয় প্রথম আরব দেশ এবং মিসর ও জর্ডানের পর মধ্যপ্রাচ্যের তৃতীয় দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চুক্তিতে উপনীত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। অবশ্য এর আগে থেকেই অনানুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকই ছিল।
ইমরান খান বলেন, যদি পাকিস্তান ইসরায়েলকে মেনে নেয় এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান জুলুম নির্যাতন না দেখে অন্ধ হয়ে থাকে তাহলে কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও এটা করতে হবে। তিনি এমন কথা তুলে জানান এটা এমন একটা কাজ পাকিস্তান যা কখনোই করবে না।
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কথা উঠলে আমাদের এটা চিন্তা করা প্রয়োজন যে, মানুষ সমস্ত রকম অবিচার মুখোমুখি হয়েছে এবং যাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ যদি আমরা পরিত্যাগ বা অস্বীকার করি তাহলে আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছের এর কী জবাব দেব।’
ইমরান খান আরও বলেন, ‘আমরা বিবেক কখনোই আমাকে এটা করতে দেবে না এবং আমি কখনোই এমনটা মেনে নিতে পারবো না।’
দৈনিক ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এমন অবস্থান ঘোষণার পর ইসলামাবাদে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাস ইমরান খানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
