বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > পাটপণ্যের দাম সাধ্যের মধ্যে রাখার পরামর্শ

পাটপণ্যের দাম সাধ্যের মধ্যে রাখার পরামর্শ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দেশে পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার অনেক ছোট, মাত্র ১ শতাংশ। তাই বাজার সম্প্রসারণে বহুমুখী পাটপণ্যের নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। এসব পণ্যের দাম যাতে সাধারণ জনগণের সাধ্যের মধ্যে থাকে, সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে করিম চেম্বারে জুট ডাইভার্সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী রাশেদুল করিম মুন্না উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের কর্মহীন করা হবে না। তারা রাস্তায় বের হয়ে জনগণের ভোগান্তির কারণ হবেন না। নিজেদের ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবেন শ্রমিকরা।

দেশে পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত করার পরামর্শ দিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, পাটজাত পণ্যের বাজার অনেক ছোট। এর আকার বাড়াতে হবে। এজন্য বহুমুখী পাটপণ্যের নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। আগ্রহী নতুন উদ্যোক্তাদের নরসিংদী পাটকল, বিসিক শিল্পনগরীসহ অন্যান্য স্থানে প্লট প্রদান করা হবে বলে শিল্পমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, দেশে পাটপণ্যের বাজার সম্প্রসারণে শুধু নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে নয়, পাটপণ্যের মেলা বছর জুড়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্থায়ীভাবে আয়োজন করতে হবে। সেই সঙ্গে ঢাকার বাইরে সব জেলাতেও নিয়মিত মেলার আয়োজন করতে হবে। পাটপণ্যের মূল্য যাতে সাধারণ জনগণের সাধ্যের মধ্যে থাকে, সে বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি শিল্পমন্ত্রী আহ্বান জানান।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বহুমুখী পাটপণ্যের একটি বিশাল বাজার রয়েছে। এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে পাটপণ্য পৌঁছে দিতে হবে। ভারতে উৎপাদিত পাটের ৮০ ভাগ স্থানীয়ভাবে ব্যবহার হয়। দেশের পাটপণ্যের উদ্যোক্তাদের বিদেশে রফতানির আগে দেশীয় বাজারের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। আর্থিক সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেলে বিদেশে রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, ক্ষতিকর পলিথিনের পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে প্রতিদিন ১ লাখ পাটের তৈরি সোনালী ব্যাগ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই পাটের ব্যাগ বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পরে শিল্পমন্ত্রী পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, ভারপ্রাপ্ত সচিব, জেডিপিসি নির্বাহী পরিচালক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।