শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > শীর্ষ খবর > পাহাড়ে ৭ মাসে ১৭ আদিবাসী নারী ধর্ষণ, ৩৬ জন নির্যাতিতা

পাহাড়ে ৭ মাসে ১৭ আদিবাসী নারী ধর্ষণ, ৩৬ জন নির্যাতিতা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কয়েকটি সংগঠনের তথ্য মতে, চলতি বছরের প্রধম সাত মাসে পাহাড়ে ১৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পাশাপাশি ৩৬টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ি নারীদের উপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসকে সামনে রেখে ঢাকায় আজ (রোববার) একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কয়েকটি সংগঠন। যেখানে পাহাড়ি নারীদের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হবে।

বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক- এর সদস্য সচিব চঞ্চণা চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রামে নারীদের ওপর সহিংসতার দু’টি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমত, একজন আদিবাসী নারী নির্যাতনের শিকার হয় কেবল সে আদিবাসী নারী বল। দ্বিতীয়ত কারণ হচ্ছে ভূমি। ভূমির ওপরে আক্রমণ হলে নারীদের টার্গেট করা হয়। ফলে তারা সহিংসতার শিকার হয়। সমতল এবং হিলটেক্সে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ৩৬৬টি মামলা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে এখনো একজনও বিচার পায়নি। যারা মামলা করে তারা অনেক সময় থানাতে যেতে ভয় পায়। থানাতে গেলেও পুলিশের সহযোগিতা পায় না।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন আদিবাসীদের পাশে দাঁড়ালেও বিচার পেতে কেন সমস্যা হয়?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দোষী ব্যক্তিরা অপরাধ করেও বারবার পার পেয়ে যায়। ফলে এক ধরণের বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। ফলশ্রুতিতে অপরাধী পুনরায় একই অপরাধ করতে সাহস পায়। উদাহারণ দিতে গিয়ে চঞ্চণা চাকমা বলেন, লংগদুতে বিশাখা নামের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। তার আগে কিন্তু তার বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পরে ধর্ষণকারী ৩ মাস জেলে ছিলো। জেল থেকে বের হয়ে সে বিশাখাকে হত্যা করে। কিন্তু তার কোন শাস্তি হয়নি।