শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > রাজনীতি > পুলিশের ‘ভোজ অনুষ্ঠান’ নিয়ে রিজভীর বিস্ময়

পুলিশের ‘ভোজ অনুষ্ঠান’ নিয়ে রিজভীর বিস্ময়

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভোজ উৎসব’ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে যে দল বিজয়ী হয় সাধারণত তাদের কর্মীরাই উৎসব, ভোজ ইত্যাদিতে মেতে থাকে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একটি রাজনৈতিক দলের তথাকথিত বিজয়ে উৎসব উদযাপন করে! -এটা শুধু নজীরবিহীন ও হাস্যকরই নয়, হতবাক করা বিস্ময়ও বটে।’

শনিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাজানো ডিজাইনে ভোট লোপাটের মহা ধুমধাম এখন চলছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে। মহাভোজ উৎসবের মহাসমারোহ চলছে পুলিশ সদর দফতর থেকে থানার পুলিশ স্টেশনগুলোতে। এটি গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে তামাশার বিকৃত প্রকাশ।’

তিনি বলেন, ‘এটা আরও সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো ২৯ ডিসেম্বর রাত ও ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতিতে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এখন গণতন্ত্রের লাশের ওপর মহাভোজের আয়োজন করেছে তারা। এ সমস্ত ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়- দেশ চলবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা একতরফা নির্বাচনের সংস্কৃতিতে এবং শেখ হাসিনা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়েই দেশের নিয়ন্ত্রণ রাখবেন।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপ ও পূণঃনির্বাচন প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্টের দাবি হাস্যকর। তাহলে বলতে চাই- শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনটা কি খুবই সম্মানজনক হয়েছে? এত বড় নজীরবিহীন ভুয়া ভোটের নির্বাচনের পরেও আত্মমর্যাদাহীন আওয়ামী নেতারা নির্বাচন নিয়ে নির্লজ্জ গলাবাজি করছেন।’

রিজভী বলেন, ‘বিশ্বের দেশগুলোর গণতন্ত্রের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। বর্তমানে বাংলাদেশ পূর্ণ গণতন্ত্র বা ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের অবস্থানেও নেই। বাংলাদেশের অবস্থান স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোর সমপর্যায়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইআইইউ রিপোর্ট প্রকাশের পর সরকারের কিছু আজ্ঞাবাহী বুদ্ধিজীবী অবান্তর কথাবার্তা বলছেন। তারা বলেছেন- গণতান্ত্রিক ধাপে বাংলাদেশ এগিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবস্থান তলানিরও নীচে অতলে নিমজ্জিত।’