মঙ্গলবার , ১৯শে মার্চ, ২০২৪ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > পুলিশ ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন

পুলিশ ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন

শেয়ার করুন

জেলা প্রতিনিধি ॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: অবশেষে ঘুষের এক লাখ টাকা ফেরত দিলেন সরাইল থানার দারোগা ফরহাদ আব্বাস। বাকি ৫০ হাজার টাকা চলে গেছে বিভিন্ন জনের পকেটে। দেড় লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে এক লাখ টাকা ফেরত পেয়ে সন্তুষ্ট বাদী পক্ষের লোকজন। তবে পুলিশের কাছ থেকে এ টাকা ফেরত পেতে বাদীকে ঘুরতে হয়েছে এক মাস। সহ্য করতে হয়েছে অনেক হুমকি ও যন্ত্রণা। টাকা পেয়ে তারা গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গত ১লা জুলাই উপজেলা সদরের প্রাতঃবাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে প্রবাসী মাজু মিয়াকে প্রথম স্ত্রী ও তার তিন সন্তানসহ অন্যরা নৃশংসভাবে খুন করে। এ ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিউলী বেগম মামলা করলে পুলিশ মাজু মিয়ার প্রথম স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও ছেলে আকবর মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে ৭ই জুলাই এ খুনের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাল্টা মামলা করে মাজু মিয়ার বড় মেয়ে শিল্পী আক্তার। এতে শিউলী বেগম ও তার স্বজনদের আসামি করা হয়। আদালত দু’টি মামলা একত্রে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরাইল থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা ফরহাদ আব্বাস। শিউলী বেগম ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, প্রতিপক্ষের মামলার ফাইনাল দেয়ার কথা বলে দারোগা ফরহাদ তিন লাখ টাকা দাবি করেছিল। পরে তাকে তিন বারে দেড় লাখ টাকা দেয়া হয়। পরের দিনই মামলাটি চলে যায় ডিবিতে। টাকা ফেরত পেতে থানায় ধরণা দিতে থাকে বাদীর লোকজন। বেঁকে বসেন দারোগা।

শুরু হয় দর কষাকষি গত ২রা আগস্ট দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ‘ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় গ্রেপ্তারের হুমকি, বাদী এলাকাছাড়া’ শিরোনামে আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তিরা। শুরুতে টাকা নেয়ার কথা সাফ অস্বীকার করলেও সংবাদ প্রকাশের পর টাকা ফেরত দিতে সম্মত হন দারোগা। অবশেষে পুলিশের এক প্রভাবশালী দালালের মধ্যস্থতায় গত বুধবার জনৈক আইনজীবীর জেলা শহরের বাসায় বসে শিউলী বেগমের ভগ্নিপতি জামালের হাতে ফেরত দেয়া হয় ঘুষের এক লাখ টাকা।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘুষ নেয়া ও ফেরত চাওয়ার বিষয়টি পত্রিকার রিপোর্ট পড়ে জেনেছি। ফেরত দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বর্তমানে মাজু হত্যা মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আমি নিজে।