বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
পোশাক খাতে বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার, যুক্ত হচ্ছে বড় বড় মেশিন। ফলে বাড়ছে উৎপাদন, কমছে শ্রমিকের চাহিদা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির এই গতি পোশাক খাতে আশীর্বাদ হলেও তাতে যেন কোনো শ্রমিকের চাকরি হারাতে না হয় এখন থেকেই সেই পরিকল্পনা নিতে হবে। যদিও বিজিএমইএ বলছে, এর জন্য পোশাক খাতের পাশাপাশি ভূমিকা রাখতে হবে অন্যান্য খাতকেও।
বড় আকৃতির এই যন্ত্রটির নাম অটো কাটার। মাইক্রো ফাইবার গ্রুপের কারখানায় এর ব্যবহারের ফলে ৬ জন শ্রমিকের কাজ করেন ১ জনই । মনিটরে শুধু কমান্ডার দিলেই চাহিদা অনুযায়ী কেটে দিচ্ছে যন্ত্রটি।
কারখানার কর্মকর্তারা জানান, এমন প্রযুক্তির ব্যবহারে একদিকে কাজ নিবারণ হচ্ছে। অন্যদিকে অল্প শ্রমিকেই করা যাচ্ছে অধিক কাজ।
শুধু একটি যন্ত্র নয়, কারখানা পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মেশিন যুক্ত হচ্ছে গার্মেন্টসগুলোতে। নিজেদের উদ্যোগে কিংবা ভায়ারদের চাহিদার কারণে আধুনিক যন্ত্রপাতি যুক্ত করতে হচ্ছে মালিকদের।
মাইক্রো ফাইবার গ্রুপের অর্থ পরিচালক এম কে. জামান বলেন, অটোমেশিনে প্রায় ৬০-৭০% অটোমেটেড আমরা হয়েছি। আরো আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে নিউএনভেনশনের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক বলেন, ৭-৮ বছর ধরে আমরা বলছি যে, ৪০ লাখ মানুষ কাজ করে। উৎপাদন কিন্তু ১৪ বিলিয়ন থেকে ৩০ বিলিয়ন হয়েছে কিন্তু লোকসংখ্যা বাড়েনি। যদি জনগণকে উচ্চ শিক্ষিত করা যায় তাহলে এটার থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।
বিজিএমইএ’র হিসাবে ২০১০ সালে শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। ২০১৭ সালেও সংখ্যাটি একই রয়েছে। তবে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ।
বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন কারখানা তৈরি হচ্ছে। তাই, চাকরি হারানোর সম্ভাবনাও কম।
উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের পোশাক খাত। প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার কমছে শ্রমিকের চাহিদা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন শ্রমিকেরও যেন চাকরি হারাতে না হয় সেই বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে, তৈরি করতে হবে নতুন কোনো পরিকল্পনা। সূত্র: নিউজ টুয়েন্টিফোর।