শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > পোশাক শিল্পে ১০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাইকা

পোশাক শিল্পে ১০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাইকা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তৈরী পোশাক শিল্পের ঝুঁকিমুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করতে ১০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান সরকারের আন্তজার্তিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা)। ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার ভারবহন ক্ষমতা বাড়াতে (রেক্টো ফিটিং বা পুনঃনির্মাণ) করতে স্বল্প সুদে ব্যাংক থেকে এ ঋণ নিতে পারবেন পোশাক শিল্প মালিকরা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানানো হয়। অবশ্য সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা এ ঘোষণা দিয়েছিল। জাইকা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এ ফান্ডের টাকা পাবেন পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা। বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সিরো স্যাডোশিমা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খন্দকার ও জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ড. তাকাও তোদা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্প্যাশাল প্রোগ্রামস্ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সুকোমল সিংহ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম, বিকেএমইএ’র পরিচালক মোস্তফা জামান পাশাসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, অতীতের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর ঝুঁকিপূর্ণ গার্মেন্ট ভবনগুলোর ভারবহন ক্ষমতা বাড়াতে ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে জাপান সরকার। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখা ৫০০ কোটি টাকার এসএমই বিনিয়োগ ফান্ড থেকে এ টাকা সমন্বয় করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় এ ঋণ বিতরণ করা হবে। পরবর্তীতে এ ধরনের সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে জাইকা। এর ফলে স্বল্প সুদে গার্মেন্ট শিল্পের উদ্যোক্তারা এ ঋণ সুবিধা পাবে। জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা জাইকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ কার্যক্রমের আওতায় এ ঋণ দেয়া হবে। বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি খাত গার্মেন্ট শিল্পের নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে এ ঋণ সুবিধা দিচ্ছে জাইকা।
১০০ কোটি টাকা ঋণ কার্যক্রম থেকে একজন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন। তবে ঋণ গ্রহণের আগে জাইকার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করবে। জাইকার প্রতিনিধি প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করেই ঋণ সুবিধা দেয়া হবে। দুই বছর সুদমুক্ত এ ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আট বছর বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।