স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্থায়ী জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৬ নভেম্বর সোমবার দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার সকালে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চে রুলের শুনানি হয়। শুনানি শুরু করেন ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল হক ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
এর আগে ৯ নভেম্বর সোমবার এই তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের স্থায়ী জামিন প্রশ্নে, রুলের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১১ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। শুনানি পেছাতে রাষ্ট্রপক্ষের করা সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এ তিন মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন ফখরুল।
তিন মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে মির্জা ফখরুলকে আপিল বিভাগের বেধে দেয়া সময় ২ নভেম্বর শেষ হয়। ওইদিন আত্মসমর্পণের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নাকচ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টের রুল শুনানি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
৩ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে মির্জা ফখরুল আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। আদালত ওই আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেফতার হন মির্জা ফখরুল। এরপর নাশকতার সাত মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।এর মধ্যে পল্টন থানায় গাড়ি পোড়ানো, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের তিন মামলায় ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পান মির্জা ফখরুল। এরপর পল্টন থানার দুটি ও মতিঝিল থানার এক মামলায় ১৮ জুন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে গেলে সেখানেও তার জামিন বহাল থাকে।