বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > রাজনীতি > ‘ফখরুলের মনে রাখা উচিত তার বাবা এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন’

‘ফখরুলের মনে রাখা উচিত তার বাবা এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন’

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৪ মার্চ উপলক্ষে যে বক্তব্য রেখেছেন, আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি।’

মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেন, ‘মির্জা আলমগীরের মনে রাখা উচিত ছিল যে, ওই সময়কার অবস্থা ও প্রেক্ষাপটের কথা। কোনো দেশে সামরিক আইন প্রত্যাশিত নয়, কিন্তু সামরিক আইন নিয়ে আসতে যারা বাধ্য করে প্রকৃতপক্ষে তারাই অপরাধী। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান এবং দেশের রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নিজের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রিসভা বাতিল ঘোষণা করে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। তখন সেনাপ্রধান হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।’

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ওই সময় যিনিই সেনাপ্রধান থাকতেন তাকেই রাষ্ট্রপতির দেয়া দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হত। তার জন্য যদি কারও অপরাধ হয়ে থাকে সেই অপরাধী হবেন বিএনপির রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের ওই পরিবর্তনকে দেশের আপামর জনগণ এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্বাগত জানিয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে নির্যাতন-নিপীড়নের কথা বলতে বিএনপির লজ্জা হওয়া উচিত। দেশের মানুষ এখনও ভুলে যায়নি বিএনপির শাসনামলের দুর্নীতি-দুঃশাসন-অরাজকতা-খুন ও হত্যার মহোৎসবের কথা। জনগণ এখনও ভুলে যায়নি বিএনপির শাসনামলে তৎকালীন বিরোধী নেতা শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২২ জন মানুষ হত্যা, পল্টনের জনসভায় বোমা হামলা, যশোরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা, গাইবান্ধা ও কানসাটের গণহত্যা, রাজনৈতিক নেতা ও ছাত্র হত্যার কথা।’

জি এম কাদের বলেন, বিএনপিকে এখন তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে। দুর্নীতির দায়ে বিএনপির নেত্রীকে এখন সাজা ভোগ করতে হচ্ছে। এখন ২৪ মার্চের কথা বলে নিজেদের পাপ ঢাকার চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। এ দেশের মানুষ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেই যাবে। মির্জা ফখরুলের স্মরণ থাকা উচিত যে, তার পিতা মরহুম মির্জা রুহুল আমিন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য এবং তার দলের এমপি ছিলেন।’