শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > ফাইজারের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বাংলাদেশি চিকিৎসক

ফাইজারের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বাংলাদেশি চিকিৎসক

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসক তিতাস মাহমুদ ফাইজারের ফেইজ থ্রি ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। বিখ্যাত নাট্যকার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমদের ছেলে তিতাস মাহমুদ।

সম্প্রতি এ বাংলাদেশি তার ফেসবুকে লিখছেন, ‘করোনা মহামারির শুরু থেকে সবাই অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে আমাদের ‘ফ্রন্ট লাইন হিরো’ বলে আসছেন। এই ঢালাওভাবে বলার ব্যাপারটিতে সত্যিই ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনোই আহ্লাদিত হইনি। কিন্তু আজ করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ‘‘ফাইজারের ফেইজ থ্রি ট্রায়াল’’ এর একজন সাবজেক্ট হতে পেরে নিজেকে বেশ ভাগ্যবান মনে হচ্ছে’।

তিতাস মাহমুদ বলেন, ‘আমি যে হাসপাতালে কাজ করি, সেটি একটি রিসার্চ হাসপাতাল। এখানে প্রায় ৩০ হাজার লোক কাজ করে। আমাদের সবার কাছে একটি ই-মেইল করা হয়, ফাইজারের রিসার্চ সেন্টার সাড়ে ৫শ স্বেচ্ছাসেবক নেবে। ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়। আমি নিজ উদ্যোগে পরবর্তী খোঁজগুলো নিতে শুরু করি। তাদের প্রধানকে ফোন করে বলি- আমি অংশ নিতে আগ্রহী। তারা আমার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলা শুরু করে’।

তিনি বলেন, ‘ওরা প্রথমে আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলে আমার পার্সোনাল তথ্যগুলো নেয়, আমার কোনও রোগ আছে কিনা, কোনো ধরনের ওষুধ সেবন করি কিনা। সেসব খুব জরুরি না, কারণ ফেজ-থ্রি ট্রায়ালে ওরা সবধরনের রোগীই থাকুক সেটা চায়। ১৮ থেকে ৮২ বছর বয়সীদের মধ্যে এটি করা হচ্ছে। এরপর তারা আমাকে ই-মেইলে ২৬-২৭ পাতার একটি শর্তনামা পাঠায় যেখানে প্রধান হলো আমি একেবারেই স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বেচ্ছায় এতে অংশ নিতে রাজি হয়েছি সেটা ঘোষণা দিতে হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘এরপরে তাদের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটরের সঙ্গে মুখোমুখি বসতে হলো। তিনি জানতে চাইলেন, এই শর্তনামার কোনও বিষয়ে আমার কোনো প্রশ্ন আছে কিনা, আমি যে কয়টি প্রশ্ন করেছি সেসবের উত্তর তিনি দিয়েছেন এবং আমি স্বাক্ষর করি। এরপরে আমার রক্তচাপ দেখা হয়। এরপর আমার কোভিড টেস্ট করা হয়। তখন আমি জানতে চাইলাম, পজিটিভ এলে আমি ট্রায়ালে অংশ নিতে পারব কিনা, সে সময় তারা আমাকে জানায়, পজিটিভ নেগেটিভের সঙ্গে নিতে পারা না-পারার কোনও সম্পর্ক নেই’।

এ বাংলাদেশি বলেন, ‘এসব ডাটা একটা জায়গায় কোড নেমে সংরক্ষিত হবে। যখনই আমি তাদের সাবজেক্ট হলাম, তখনই আমি আর তাদের কাছে কোনও ব্যক্তি না, কোড। এরপর আমার ২৫ মিলিগ্রাম পরিমাণ রক্ত নেওয়া হলো অ্যান্টিবডি টেস্টের জন্য। সেটিও ডাটার কাজে লাগবে। অ্যান্টিবডির কোন পর্যায়ে আমার ট্রায়াল শুরু হচ্ছে সেটা বোঝার জন্য এই পরীক্ষা। এরপর আমাকে একটা ইনজেকশন দেওয়া হয়। এভাবে আমি যুক্ত হই’। সূত্র: জাগোনিউজ।