শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > বঙ্গবন্ধুর অপমানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব

বঙ্গবন্ধুর অপমানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপমানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার অফগ্রিড চরাঞ্চলে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মুখ্য সচিব এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্য সচিব বলেন, ‘আমার কথাটি রাজনৈতিক মনে হতে পারে, কিন্তু আমি মনে করি এটি রাজনৈতিক নয়, নৈতিক বিষয়। এটি আমাদের বাঙালির রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। আমি উপস্থিত সবাইকে জানাতে চাই, আমরা মুজিববর্ষের কথা বলছি, স্বাধীনতার ৫০ বছরের কথা বলছি। কিন্তু এই বছরে জাতির পিতাকে অপমান করার একটি প্রয়াস দেখতে পাচ্ছি। আমি মনে করি, জাতির পিতা সাংবিধানিকভাবে জাতির পিতা, এটির সঙ্গে কোনো রাজনীতি জড়িত হতে পারে না, এটি কোনো দলের নয়। গত ৪ ডিসেম্বর রাতের কোনো এক সময় কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ডান হাত, পুরো মুখ ও বাম হাতের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলা হয়। ঢাকায় ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের হেফাজতের বিরোধীতার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় ইতোমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব এখানে আপনারা যারা উপস্থিত আছেন,যারা আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতির পিতার অপমান রুখে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমি আশা করব, এই মাসে সবাই সম্মিলিতভাবে আমাদের কণ্ঠস্বরটি শক্ত করব, জাতির পিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাব, সকল প্রকারের অপপ্রচার-অপব্যাখ্যা এবং অপপ্রয়াসকে প্রতিহত করব।’

আহমেদ কায়কাউস আরও বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিদ্যুৎ দরকার। আমরা ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করছি, এর জন্যও বিদ্যুৎ দরকার। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে, এর মধ্যে কিছু মানুষ বাদ পড়ে যাচ্ছিলেন। প্রতিবন্ধকতার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রিড যায়নি। ফলে তারা বিদ্যুৎ নিতে চাইলে আরও বেশি দাম দিয়ে নিতে হতো। কোথাও ৩০ টাকা কোথাও ২৫ টাকা করে তারা সোলার হোম ব্যবহার করেছে। যেখানে গ্রিড আছে সেখানে আমরা বিদ্যুৎ ৫ টাকায় পেয়েছি এবং নিরবচ্ছিন্ন পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এটা সমতার দিক থেকে সঠিক নয় বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই দুর্গম এলাকায় যারা বসবাস করে তারাও যাতে বিদ্যুতের সুবিধা পায়। আপাতত যেখানে গ্রিড নেয়া সম্ভব না, সেখানকার মানুষ যাতে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে পায়।’

বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব কায়কাউস আরও বলেন, ‘নেসকো হচ্ছে বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে কনিষ্ঠ, সেই সর্বকনিষ্ঠই কিন্তু আজকে প্রথম একটি চরাঞ্চল আলোকিত করে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আমি তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।’

তিনি বলেন, ‘আমি যতটা জেনেছি আজকে ৪ হাজার ৫২১টি পরিবারকে বিনামূল্যে সোলার হোম সিস্টেম দেয়া হচ্ছে।’