স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্যাকবলিত এলাকার ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে ন্যূনতম দুই মাসের কিস্তি আদায় না করার নির্দেশ দিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি। নির্দেশনায় বন্যাকবলিত ১৭টি জেলার মানুষকে এ সুবিধা দেয়া কথা বলা হয়েছে।
সোমবার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি দেশের সব সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রতি এ নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বন্যার প্রকোপ, ক্ষতির পরিমাণ, গ্রাহকের আর্থিক অবস্থা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের কাছ থেকে বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী ন্যূনতম দুই মাস বিদ্যমান ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ করতে হবে। নতুনভাবে অন্তর্র্বতী/দুর্যোগকালীন ঋণ প্রদানপূর্বক চলমান ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের কথাও বলা হয়েছে এ নির্দেশনায়।
গ্রাহকদের ঋণ থাকা অবস্থায় শতভাগ সঞ্চয় উত্তোলনের সুবিধা প্রদান করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নির্দেশনায়, প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত তহবিল/দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল হতে ক্ষতিগ্রস্ত সামর্থ্যহীন গ্রাহকের জরুরি খাবার ও ওষুধ সরবরাহ এবং বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে সহয়তা করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লিখিত ১৭টি জেলার মধ্যে রয়েছে- কুড়িগ্রাম, নিলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, নেত্রকোন, সিলেট ও সুনামগঞ্জ।
