মঙ্গলবার , ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ , ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > বাংলাদেশের সঙ্গে পরিবহন চুক্তিতে মরিয়া ভারত

বাংলাদেশের সঙ্গে পরিবহন চুক্তিতে মরিয়া ভারত

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বালাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক পরিবহন চুক্তি স্বারে মরিয়া হয়ে ওঠেছে ভারত। এ চুক্তি স্বারিত হলে কেনো রকম বাধা ছাড়াই মালবাহী ট্রাক বা লরি দু দেশের ভুখন্ডে প্রবেশ করতে পারবে। প্রতিবেশী কোনো দেশের সঙ্গে এটিই হবে ভারতের এ জাতীয় প্রথম চুক্তি।

ভারতের অনলাইন পত্রিকা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে শনিবার ‘ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ সেট টু সাইন প্যাক্ট ইন ট্রেড পুশ’ শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়।

পত্রিকাটি জানায়, বাংলাদেশ সরকারের অনাগ্রহের কারণে ‘মোটর যান চুক্তি’(মোটর ভিহিকলস এগ্রিমেন্ট) চুক্তিটি এর আগে কয়েক দফা ঝুলে যায়। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় চলতি বছরের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে চুক্তির খসড়া প্রস্তাব হস্তান্তর করে। তবে ঢাকা এতে সম্মত হয়নি। তারা এখনো প্রস্তাবটি পরীা করে দেখছে বলে জানা গেছে। তবে নয়াদিল্লী আগামী বছর ভারতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই চুক্তিটি স্বার করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিসনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান,‘বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে সাফটা’র (সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়া )আওতায় একটি বহুমুখী প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। আমরা কেবল তাদেরকে প্রস্তাবটিকে দ্বিপাকি করার আহ্বান জানিয়েছি।’

বর্তমানে মালবাহী ট্রাকগুলো পন্য খালাসের জন্য দু দেশের সীমান্ত এলাকার দেড়শ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। যান চুক্তিটি স্বার হলে ট্রাকগুলো মাল খালাসে দু দেশের অভ্যন্তরে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্য পর্যন্ত যেতে পারবে।

পত্রিকায় উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, ধরা যাক বাংলাদেশের পোশাক পরিবহনকারী একটি ট্রাক মুম্বাইয়ে মাল দেয়ার কথা রয়েছে। চুক্তিটি স্বার হলে সেটিকে মুম্বাই যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে এবং সেখানেই মাল খালাস করতে পারবে।শধু তাই নয়। চুক্তিটি স্বার হলে সীমান্তে জনজট কমবে এবং দু দেশের রপ্তানি সংক্রান্ত অপর্যাপ্ত অবকাঠামো সমস্যারও সমাধান হবে বলে ওই কর্মকর্তা মনে করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরো জানান, সম্প্রতি নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মধ্যে যে দ্বিপাকি বৈঠক হয় সেখানেও এ প্রস্তাবটি প্রাধান্য পেয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফর করেন।

শোনা যায়, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশের হাই কমিশননার তারিক এ করিমের সঙ্গেও ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সম্ভবত অবকাঠামোগত সমস্যার কারণেই বাংলাদেশ এ মুহূর্তে চুক্তি স্বারে রাজি হচ্ছে না বলে পত্রিকাটি জানায়।