শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > প্রবাস > বাংলাদেশের সাফল্য স্পেনে তুলে ধরলেন রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের সাফল্য স্পেনে তুলে ধরলেন রাষ্ট্রদূত

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস স্পেনের উদ্যোগে মাদ্রিদে ‘বাংলাদেশ দিবস’ পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মাদ্রিদের বিখ্যাত শিলার বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রুমে ৯ এপ্রিল এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অগ্রযাত্রার পথে বাংলাদেশের সাফল্যকে তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার। রাষ্ট্রদূতের বক্তৃতায় বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি, পর্যটন, উন্নয়ন এবং স্পেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয় স্থান পায়।

এ সময় রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা বিশ্ববাসীর কাছে মিরাকল (আশ্চর্য)।

শিলার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোসে বি পিন্টোর পরিচালনায় সেমিনারের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশকে একটি সুখি, সমৃদ্ধশালী, আধুনিক, অসম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ ও বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন। বিশ্বে বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহৎ রফতানি বাজার হিসেবে (যুক্তরাষ্ট্র ,জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের পরে) স্পেনের গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।

তিনি চীন, জাপান ও ভারতের পর এশিয়া মহাদেশের মধ্যে স্পেন বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার বলে ছাত্রছাত্রীদের অবগত করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মিনিস্টার হারুন আল রাশিদ, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, প্রথম সচিব (শ্রম) মো. শরিফুল ইসলামসহ বিদ্যালয়ের পরিচালক, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার শিলার বিশ্ব বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজ ও বাংলাদেশিদের সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। মূলত বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের ধারণা দেয়াই ছিল তার লক্ষ্য।

বাংলাদেশি খাবার আপ্যায়ন করার মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ দিবসের’ অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।