শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > অর্থ-বাণিজ্য > বাংলাদেশে থমকে পড়েছে বেসরকারি বিনিয়োগ

বাংলাদেশে থমকে পড়েছে বেসরকারি বিনিয়োগ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
দেশে বাড়ছে না বেসরকারি বিনিয়োগ। ব্যাংকগুলোতে পড়ে আছে প্রচুর অলস টাকা। এতে অনেক উচ্চাশার প্রবৃদ্ধি হয়ে পড়ছে শুধুই ভোগ ব্যয়কেন্দ্রিক। চলমান পরিস্থিতিকে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে যেকোন নতুন উদ্যোগের শুরুতে গ্যাস বিদ্যুৎ সমস্যার পাশাপাশি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পোহাতে হয় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

টেকসই প্রবৃদ্ধি আর অর্থনীতির ধারাবাহিক পথচলা স্বাভাবিক রাখতে সব দেশেরই প্রয়োজন পড়ে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধির। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও, বিনিয়োগ বাড়াতে নানা পরিকল্পনা আর রূপরেখা আঁকছে সরকার। কিন্তু ৫ বছর ধরেই দেশের মোট বিনিয়োগ এখনও থমকে আছে জিডিপির ২৮-২৯ শতাংশেই।

গত চার বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কখনোই নামেনি ৬ শতাংশের নীচে, কিন্তু বেসরকারি বিনিয়োগ বেড়েছে গড়ে মাত্র পৌনে এক শতাংশ। ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ ছিলো ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ, ৬ বছর পর দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশে। সংখ্যার হিসেবেই পরিষ্কার, কতটা নাজুক ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ পরিস্থিতি।

অথচ এই মূহুর্তে দেশের ব্যাংকগুলোতে অলস পড়ে আছে প্রায় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। নতুন বিনিয়োগ না আসার পেছনে ব্যাংক ঋণে উচ্চ সুদের হার, জ্বালানি সংযোগ পেতে দীর্ঘসূত্রিতা আর প্রশাসনিক দুর্বলতার মতো কারণগুলোকেই বড় করে দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ একটা জায়গায় থমকে আছে। তার কারণ হলো জ্বালানী সমস্যার সমাধান আমরা করতে পারছি না। বিদ্যুৎ উৎপাদন আমরা বলছি ১৫ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু ডিস্ট্রিবিউশন লাইন এখনো ঠিক করতে পারি নি।

তারা আরও বলেন, ব্যাংকের কার্যক্রম নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট না। দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না। হাজার হাজার কতি টাকা অলস পরে আছে। ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের অর্থ দিতে রাষ্ট্রের কোন যোগান নেই। খুব হতাশাজনক একটা ব্যাপার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রবৃদ্ধির স্বার্থে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে সরকার, কিন্তু নজর কাড়তে পারেনি ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের। এ ধারা চলতে থাকলে টেকসই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলেও মত তাদের।

অর্থনীতিবিদরা বলেন, যতটুকু বিনিয়োগ পাওয়া যাচ্ছে। তা কাক্সিক্ষত মাত্রার থেকে অনেক কম। কখন থেকে এলএনজি সুবিধা বিনিয়োগকারীরা পাবেন তা নিশ্চিত না। বৈশ্বিক পর্যায়ে রপ্তানি খাত সুবিধাজনক না হওয়ার কারণে আমাদের বিনিয়োগকারীরা সুবিধা করতে পারছেন না।

বিবিএস এর শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, স্থবির বিনিয়োগ পরিস্থিতির কারণে শেষ দুই বছরে দেশে নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে মাত্র ১৬ লাখ মানুষের। অথচ এর আগের এক দশকে প্রতিবছর গড়ে ১৩ লাখ মানুষ পেয়েছে নতুন কর্মসংস্থান।

সূত্র : সময় টিভি