শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা চুরি নিয়ে ফিলিপাইন সিনেটে বৈঠক কাল

বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা চুরি নিয়ে ফিলিপাইন সিনেটে বৈঠক কাল

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি যাওয়া অর্থ ফিলিপাইনের ব্যাংক ব্যবস্থায় আসার পর ওই অর্থ কিভাবে ব্যয় হয়েছে তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে দেশটির সিনেট কমিটি।

সোমবার সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফিলিপাইন পার্লামেন্টের ব্যাংক ও আর্তিক বিষয়ক কমিটির প্রধান সিনেটর সার্জেই ওসমেনা এ কথা বলেন।

এন্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিলসহ (এএমএলসি) ফিলিপাইনের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ব্যাংক জালিয়াতির এ ঘটনা তদন্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়। ওই টাকার ৮১ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয় ফিলিপাইনের মাকাতি সিটির জুপিটার স্ট্রিটের রিজাল ব্যাংকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে। গত ফেব্রুয়ারির ৫ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে এ অর্থ পাঠানো হয়।

সিনেটর ওসমেনা বলেন, রিজাল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ২০১৫ সালে মে মাসে ৫’শ মার্কিন ডলার প্রাথমিক জমায় ৪ অ্যাকাউন্ট যারা খুলেছেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা হচ্ছেন মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার ল্যাগ্রোসাস, আলফ্রেড সানতোস ভারগারা, এনরিকো তিযোদরো ভাসকুইজ। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই অ্যাকাউন্টে ৮১ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অংকের এ অর্থ স্থানান্তর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সিনেটের রিবন কমিটির বৈঠকে এ অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান সিনেটর ওসমেনা।
বক্তব্য রাখছেন সিনেটর ওসমেনা

সিনেট কমিটি চেয়ারম্যান বলেন, প্রথমত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করা হবে। এ অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে ফিলিপাইন ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে সেটাও প্রতিষ্ঠা করা হবে।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে ২০১৫ সালে রিজাল ব্যাংকে খোলা ৪ অ্যাকউন্টে কিভাবে এ অর্থ বন্টন হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।

চুরির এ অর্থ ইতোমধ্যে অন্য কোথাও পাঠানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে সিনেটর ওসমেনা বলেন, কমিটি সেটা নিয়ে কাজ করছে না। অর্থ কোথায় গেছে সে সম্পর্কে কমিটির কোন ধারণা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।