শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > বাণিজ্যিক ভাবে ৫ বছরে আমদানি হয়নি স্বর্ণ

বাণিজ্যিক ভাবে ৫ বছরে আমদানি হয়নি স্বর্ণ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥

বিগত ৫ বছরে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে কোন স্বর্ণ আমদানি হয়নি। পাঁচ বছরে অবৈধ পথে আসা কোটি কোটি টাকার সোনা আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। গত তিন বছরে আটক করা হয়েছে ১১’শ কেজি স্বর্ণ। সোনা আমদানির ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া রয়েছে তা সোনা ব্যবসায়ীদের জন্য জটিল ও অলাভজনক হওয়ায় অবৈধ পথে সোনা আমদানি করছে তারা। ফলে সোনা আমদানিরও তেমন একটা প্রয়োজন হচ্ছে না।

সোনার বার বা বিস্কুট আমদানির জন্য প্রতি ভরিতে ভ্যাটসহ যা খরচ হয় তার চেয়ে বিদেশ থেকে আসার সময় ২০০ গ্রাম সোনা সহজেই আনতে পারায় ব্যবসায়ীরাও সেই পন্থা অবলম্বন করছে। ফলে আমদানি হয়না সোনা আর শুল্ক ছাড়াই সোনা এনে ব্যবসা করেন তারা। ২০১১-১২ তে সোনা আমদানির জন্য কোন শুল্ক পায়নি বাংলাদেশ সরকার। ২০১৫-১৬ এর আগে প্রতি ভরিতে ভ্যাট ছিল ১৫০ টাকা কিন্তু পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩ হাজার টাকা।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বিডি২৪লাইভ ডটকমকে বলেন,‘ বর্তমানে ব্যাগেজ রুলের আওতায় শুল্করাদি পরিশোধ সাপেক্ষে ২৩৪ গ্রাম(প্রায় ২০ ভরি) স্বর্ণ আনার সুযোগ রয়েছে। এই পন্থায় দেশের বিমানবন্দরসমূহ দিয়ে প্রতিভরি স্বর্ণে ৩ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করে যাত্রীরা স্বর্ণ আনছেন। ২০০৮ সালের পর থেকে চোরাচালানে আটক ও বাজেয়াপ্তকৃত স্বর্ণের কোন নিলাম বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে দীর্ঘদিন ধরে জমা পড়ে আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮ এর অনুচ্ছেদ (২৬) ২২ অনুযায়ী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্বর্ণ আমদানির স্পষ্ট সুযোগ রয়েছে। তবে এই আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি নিতে হয়। এই অনুমতি নিয়ে ব্যবস্য়াীগণ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বৈধভাবে যে কোন সময় যেকোন পরিমানের স্বর্ণ আমদানি করতে পারেন।’

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশের ভিতরের কোন উৎস হতে বৈধ স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তাদের ব্যবসা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সহসা অনুমতি পাওয়া যাচ্ছেনা। এই বিষয়ে আমদানি নীতি অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর হতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সোনা পাচারসংক্রান্ত মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৯৯৫ দশমিক ৭৮ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এর বাইরে ওজন করা হয়নি এমন ১ হাজার ৬৯৩টি সোনার বার ও ৬৮টি সোনার চেইন উদ্ধার করা হয়। এই পরিমাণ সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা নেই।

জানা যায়, স্বর্ণ আমদানিতে সরকারের পক্ষ হতে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিলনা। কেউ বৈধ ভাবে স্বর্ণ আমদানি করত না কারণ যদি তাদের টাকা প্রকাশ হয়ে যায় তাহলে তাকে হয়তো সেই সম্পদের হিসেব দিতে হতে পারে। তবে ২০০ গ্রাম যে স্বর্ণ আনার সুযোগ রয়েছে তা ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহারের জন্য। যদি কেউ বিক্রি করে ব্যবসার চেষ্টা করে তা অবৈধ বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।