বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > বান কি-মুনের উদ্যোগে কোনো সাড়া নেই

বান কি-মুনের উদ্যোগে কোনো সাড়া নেই

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দুই নেত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব কথা বলার পরও সংকট কাটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ কোনো দলই ছাড় না দিয়ে যে যার অবস্থানে অনড়৷ বিএনপি যাচ্ছে আন্দোলনের দিকে আর আওয়ামী লীগ প্রচারণায়৷

গত সপ্তাহে দেশের দুই নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সংকট নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন৷ এর আগে পাঠান তাঁর দূত৷ জাতিসংঘ মহাসচিবের টেলিফোনের পর সাধারণ মানুষ এবং সুশীন সমাজ আশা করেছিল, নির্বাচনকালীন সরকার-ব্যবস্থা নিয়ে দুই দলের মধ্যে হয়ত সমঝোতার একটি উদ্যোগ দেখা যাবে৷ হয়ত সেখানে দুই দলই একটু ছাড় দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সামাধানে পৌঁছাবে৷ কিন্তু দুই দল জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি৷

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন জনসভায় আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যে৷ শুক্রবারও তিনি ঢাকায় এক জনসভায় সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ মুক্ত দেশ গড়তে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধানের অধীনেই হবে৷ কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা দেয়া হবে না৷

১লা অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা৷ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ডয়চে ভেলেকে জানান, নির্বাচন যথা সময়েই হবে৷ আর আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত৷ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অনানুষ্ঠানিকভাকে প্রচারণার কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ আনুষ্ঠানিক প্রচারণাও শুরু হবে৷ তাঁর কথা, দেশ এখন নির্বাচনমুখী হয়ে উঠছে৷

বিপরীতে ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকার বাইরে জনসভা শুরু করছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া৷ ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত তিনি নরসিংদি, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল – এই ছয়টি বিভাগে জনসভা করবেন৷ এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পূরণ না হলে ঢাকায় মহসমাবেশ করে কোরবানির ঈদের পর দাবি আদায়ে সর্বাত্মক আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে৷ খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবারও বলেন যে, কোনো অবস্থায়ই দলীয় সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবেন না৷ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে৷

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ জানান, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়৷ এছাড়া, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না৷ তাই সরকার নির্বাচনের জন্য যত দ্রুত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার-ব্যবস্থা মেনে নেয়, ততই মঙ্গল৷