শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > শীর্ষ খবর > বারি’তে ফসল রফতানির প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরণ বিষয়ক কর্মশালা

বারি’তে ফসল রফতানির প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরণ বিষয়ক কর্মশালা

শেয়ার করুন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ॥
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)’র আয়োজনে উদ্যান ফসল রফতানির বর্তমান অবস্থা এবং রপ্তানির বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা বুধবার ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘উদ্যান ফসলের রফতানি বাধা অতিক্রম করতে প্রযুক্তি বিকাশ ও বাস্তবায়নের প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রস্তুতকরণ’ কর্মসূচী’র আওতায় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর অর্থায়নে আয়োজিত এ কর্মশালায় বারি’র বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, এফএও এর প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সকালে বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন। বারি’র পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. আবেদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম এ রহিম, এফএও এর সাবেক ভ্যালু চেইন স্পেশালিস্ট ড. মো. সালেহ আহমেদ, এফএও ঢাকার জাতীয় কর্মসূচী পরামর্শক এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. ফারাজী বিনতে ফেরদৌস, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের কর্মসূচী বিশেশজ্ঞ (উদ্যান) ড. শাহাবুদ্দীন আহমেদ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারি’র সবজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং এই কর্মসূচীর টিম লিডার ড. ফেরদৌসি ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম বলেন, দেশের জিডিপি-তে কৃষিখাতের অবদান প্রায় ১৭%। কর্মক্ষম জনসংখ্যার ৬০% প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে জড়িত। বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে প্রায় ১০০ প্রকারের তাজা উদ্যান জাত ফসল বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে রফতানি করা হয়। বাংলাদেশের সবজির প্রধান রফতানি বাজার হ’ল যুক্তরাজ্য, মালযয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কাতার, রাশিয়া, ইতালি এবং কুয়েত। দিন দিন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশী উদ্যানজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু নিরাপদ ও মানসম্পন্ন উৎপাদনের রফতানি নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক মানের সাথে আমাদের ফসল উৎপাদন ও ফসল সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে মানসম্পন্ন উৎপাদন, অনিয়মিত সরবরাহ, অকার্যকর কীট পতঙ্গ ব্যবস্থাপনা, ফসল সংগ্রহ পরবর্তী ব্যবস্থাপনার সুবিধাগুলো সম্পর্কে কৃষককের সচেতনতার অভাব রয়েছে। পাশাপাশি অপর্যাপ্ত প্যাকেজিং সিস্টেম, রেফ্রিজারেটেড (রেফার) যানবাহন, বাজারের সহায়তা, রফতানিমুখী গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের অভাব রয়েছে। তাই রফতানিমুখী উৎপাদন এবং গবেষণার প্রতি আমাদের নজর দিতে হবে। বিদেশে ক্রেতার চাহিদা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশকে তাজা ফল, শাক-সবজি এবং উদ্যানজাত পণ্যের গুণমান বাড়ানো দরকার। বাংলাদেশ সাথে অন্যান্য পশ্চিমাদেশগুলোর তাজা ফল এবং শাক সবজির উৎপাদন পদ্ধতি একেবারেই আলাদা। তাই নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিদ্যমান উৎপাদন ব্যবস্থাপনাও উন্নয়ন করা দরকার।