শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > লাইফস্টাইল > বার্ধক্য ঠেকাতে ৫ খাবার

বার্ধক্য ঠেকাতে ৫ খাবার

শেয়ার করুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক ॥ খাবার প্রতিরোধ করতে পারে বার্ধক্য যদিও বার্ধক্য অপ্রতিরোধ্য। এটা সবার জীবনেই আসবে। কিন্তু চিন্তার ব্যাপারে হলো, কারো জীবনে এটা খুব জলদিই চলে আসে। যার ফলে জীবন হয়ে যায় মলিন। বার্ধক্যের ছাপ যখন থেকে চেহারায় এবং শরীরে পড়তে শুরু করে, তখনই অনেকেই মন থেকেও ভেঙে পড়েন। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই অনেকে এড়িয়ে যেতে পারেন অকালের সেই বার্ধক্যকে। খুব কঠিন কিছু না, দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় শুধু রাখন নিচের পাচঁটি খাবারকে। তাহলেই বার্ধক্য আসবে ঠিক সময়ে, তবে সেই বার্ধক্য মনের তারুণ্য আর ত্বকের উজ্জ্বলতার ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।

সবুজ শাক-সবজি

সবুজ শাক-সবজি, যেমন-ব্রুকলি, পালং শাক, পুই শাঁক, লেটুস পাতা, শশা ইত্যাদিতে আছে প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আরো আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, যা চামড়ায় দ্রুত ভাঁজ পড়ে যাওয়া ঠেকায়। তাছাড়া সবুজ শাক-সবজির বেটা-ক্যারোটিন ত্বককে সূর্যের তিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রা করে। তাছাড়া এটা তো সবারই জানান, শাক সবজি ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কতোটা উপকারী। এমনকি বার্ধক্যের সেঙ্গ সঙ্গে এই সবুজ শাক সবজি দেহের দূষিত রক্তকেও দেহে স্থায়ী হতে দেয় না।

তরমুজ

বার্ধক্যরোধে সবচেয়ে উপকারী ফল হিসেবে তরমুজের নাম আসে সবার আগে। এটা দেহে বার্ধক্য প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এর পাশাপাশি তরমুজে আছে সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ, বি সি এবং ই। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে দেহের জন্য উপকারী ফ্যাট এবং জিঙ্কও আছে তরমুজে, যা বার্ধক্যের সময় এলেও মূষড়ে পড়তে দেয় না কাউকে। এই সব উপাদান থেকে মানবদেহ প্রয়োজনীয় ফুইডের যোগান পায়।

বাদাম

কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট এবং পেশতা-এদের বলা হয় ‘এনার্জি পাওয়ারহাউজ’। প্রতিদিন নিয়মিত বাদাম খেলে কান্তি, ঝিমুনি আর আলসেমি দেহে ভর করে না। আরেএসব দেহে ভর না করা মানে, আপনি এখনো বুড়ো হয়ে যাননি।

দই

এটা ভেতর থেকে মানবদেহকে করে তরতাজা। এর পুষ্টিগুণ বলতে গেলে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন আর ভিটামি বি’র কথা তো বলতেই হবে। তাছাড়া এর সবচেয়ে উপকারী উপাদান হচ্ছে দইয়ের ‘ব্যাকটেরিয়া’ গুলো। যা আমাদের হজমপ্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে এবং রোগপ্রতিরোধ মতাকেও করে দৃঢ়। তাছাড়া দই ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং দ্যুতি ধরে রাখতেও বেশ উপকারী। শরীরে ফাঙ্গাসজনিত রোগগুলোর েেত্র দই উপকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া চুলের পরিচর্যায় দই তো অনেক অনেক বছর আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে।

রসুন ও আদা

বার্ধক্য দেহে ভর করলেই বাড়ে হৃদরোগের ভয়। আর রসুন এই ভয় দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দেহের মরা কোষ এবং অনাকাঙ্তি কোষগুলোকে প্রশ্রয় দেয় না রসুন। প্রতিদিনের খাবারে একটু রসুন, দিনব্যাপী লড়াই করে বার্ধক্যের বিরুদ্ধে।

আদারও আছে বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ মতা। এটা প্রধানত কাজ করে হজম প্রক্রিয়াকে সচল রাখার জন্য। তাছাড়া শরীর থেকে দূষিত পদার্থকে বের করে দিয়ে দেহকে রাখে দূষণমুক্ত এবং তরতাজা।