বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > শীর্ষ খবর > বিএনপির লক্ষ্য রাজপথ

বিএনপির লক্ষ্য রাজপথ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বিভক্ত ঢাকার দুই ভাগেই তরুণ নেতৃত্বে সমৃদ্ধ কমিটি দিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আস্থার সংকট কাটিয়ে দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে বিএনপি। সংগঠন গুছিয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে নামানোও হবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখা বিএনপির নতুন নেতৃত্বের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তবে এরই মধ্যে এক মাসের সময়সীমা পার হয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি দুই শাখা। ওয়ার্ড ও থানা কমিটিগুলোও দীর্ঘদিন ধরেই অসম্পূর্ণ। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বড় অংশই মামলায় জর্জরিত। তাদের আস্থায় এনে দলকে সুসংগঠিত করে রাজপথমুখী করাতে হবে বলে মনে করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ঢাকা মহানগর দুই ভাগের কমিটি হয়েছে। নতুন নেতৃত্বেরও আন্দোলন সংগ্রামের অভিজ্ঞতা আছে। ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি সামনের দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমি আশাবাদী। ’ গত ১৬ এপ্রিল রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি (আংশিক) ঘোষণা করে বিএনপি। দক্ষিণের সভাপতি দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার। উত্তরের সভাপতি করা হয় সাবেক কমিশনার আবদুল কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আহসান উল্লাহ হাসানকে। কমিটি ঘোষণার সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনা ছিল, এক মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। আজ প্রায় দুই মাসেও তা পারেনি নতুন নেতৃত্ব।

ঢাকা মহানগর কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক নেতা বলেন, এখন রমজান মাস চলছে। পুরো মাসজুড়েই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ইফতার মাহফিল কর্মসূচি আছে। এ নিয়ে নেতা-কর্মী সবাই ব্যস্ত। সামনে ঈদ। সামগ্রিকভাবেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা সম্ভব হয়নি। তবে এ কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। ঈদের পরপরই আশা করছি, পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া সম্ভব হবে। এরপরই থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
দক্ষিণ শাখার সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘দক্ষিণ শাখার কমিটি এখন ৭০ সদস্য বিশিষ্ট। আমরা আশা করছি, ঈদের পরপরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে। এরপরই থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটির কাজ শুরু হবে। ’
এ মুহূর্তে নতুন কমিটির চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হলো তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠন শক্তিশালী করা। গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনÑএ সবের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলে রাজপথে আন্দোলন তৈরি করা। ভোটারবিহীন কোনো নির্বাচন হলে তা প্রতিরোধ করা। ’ জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা মহানগর বিএনপির ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে কমিটি নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিদায়ী কমিটি ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের কাজ অনেক দূর এগিয়েও যায়। কিন্তু আন্দোলন কর্মসূচি সামনে চলে আসায় কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। এখন নতুন কমিটি অসম্পূর্ণ কমিটি ধরেই কাজ করবে কি না তা নিশ্চিত নয়। তবে দুই শাখার একাধিক নেতা জানিয়েছেন, যেহেতু নতুন কমিটি হয়েছে। তাই থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটির কাজও নতুন করে শুরু হবে। সেক্ষেত্রে আগের কমিটি থেকেও পরামর্শ গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার বলেন, ‘মহানগরের নতুন কমিটিতে যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক অনেক নেতাই এসেছেন। তাদের চিন্তা চেতনাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আগের কমিটির পরামর্শও গ্রহণ করা হবে। ’ এদিকে বিদেশি নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যা মামলার আসামি কাইয়ুম দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। দলটির নেতারা মনে করেন, শিগগিরই তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা কম। উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান অবশ্য প্রকাশ্যেই আছেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতেই চলছে উত্তর শাখার কার্যক্রম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেশের বাইরে থেকে মোবাইল ফোনে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম এ কাইয়ুম বলেন, ‘শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বা দিক নির্দেশনা দেওয়া কঠিন কিছু নয়। তার সঙ্গে নেতা-কর্মীদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তবে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আশা করি, উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার পাব। দেশে ফেরার ইচ্ছাও আছে। ’ বাংলাদেশ প্রতিদিন