বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি বলেছেন, আওয়ামী লীগ গত ১১ বছরে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ভোটাররা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো লেভেল প্লেইং ফিল্ড পায় না। বিএনপি নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার চায়, সরকারের অপসারণ চায় না। আজকে নির্বাচন কমিশনার বিতর্কিত হয়েছে। সরকার বিতর্কিত নির্বাচন করে ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এর দায় সরকারের।
মঙ্গলবার দুপুরে হাতিরপুল এলাকায় গণসংযোগের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রবিউল আলম রবি বলেন, আমরা বললেই যদি পৃথিবীর সব লোক মনে করে বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে। সিটি নির্বাচনে ৭৫ ভাগ লোক নির্বাচন বর্জন করেছে, তাহলে আমাদের দাবিই সঠিক। আওয়ামী লীগ দোষারোপের রাজনীতি করে। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতে এবং যেতে ভয় পায় না।
ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যেতে কি পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থী হিসেবে চেষ্টা করছি। ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার অনীহা রাষ্ট্র তৈরি করছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ বিধায় ভোটাররা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তারা মনে করে ফলাফল আগেই নির্ধারত বা আমি যে প্রার্থীকে ভোট দেব তাকে ভোট দেয়া যাবে না। জোর করে অন্য প্রার্থীকে দিতে বাধ্য করা হবে। ভোটাররা এসব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তবে আমি এ ধারণা দূর করতে চাচ্ছি, এই রাষ্ট্রের মালিক আপনারা। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সে চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, প্রার্থী ও নির্বাচন কমিশনাররা সমঝোতার ভিত্তিতে প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে কিছু সংস্কার করেছিলাম। ইসি উদ্যোগ নিয়েছে আমরা কারেকশন দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশনারের সাথে আমাদের যে সমঝোতা হয়েছিল সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালোভাবে অবগত হয়েছে বলে মনে হয়নি। গতকাল যখন ভোটার স্লিপ দিতে বের হই তখন কলাবাগান থানার ইনচার্জ (ওসি) আপত্তি করেন। তাকে বোঝাতে আমার অনেক সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, প্রচারে মানুষ নিয়ে নামতে বাধা নেই। আমিও নামছি, আমিও প্রচুর মানুষ নিয়ে নামব। একটা বিধি-নিষেধ আছে সেটা হলো পাঁচদিন বেসিক আকারে করা যাবে। বাকি দিনগুলো নিয়ন্ত্রিত করতে হবে যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয়। মানুষের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে।